জয়টা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করলাম

রুদ্র রুদ্রাক্ষ, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা-১৭ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জিতেছেন ঢাকাই সিনেমার একসময়কার তারকা ফারুক, যার পোশাকি নাম আকবর হোসেন পাঠান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের আন্দালিভ রহমান পার্থকে হারিয়েছেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে। নায়ক পেয়েছেন এক লাখ ৬৪ হাজার ৬১০ ভোট। আর পার্থের ভোট ৩৮ হাজার ৬৪৯। সংসদ নির্বাচনে ফারুক তার এই প্রথম বিজয় উৎসর্গ করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বিজয়ের অনুভূতি এবং নিজের নির্বাচনী এলাকা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে তার সঙ্গে কথা বলেছে ঢাকা টাইমস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রুদ্র রুদ্রাক্ষ।

প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন, কেমন লাগছে?

এটা সত্যিই এক অভূতপূর্ব অনুভূতি। সবচেয়ে বড় কথা, এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আসন ছিল। তিনি এই আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। শেখ হাসিনা আমাকে এই আসনে নির্বাচন করার সুযোগ দিয়ে গর্বিত করেছেন। আর এলাকাবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে আমার প্রতি তারা আস্থা রেখেছেন। আমার এই জয় বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মরণে উৎসর্গ করলাম। আর সমগ্র জনগণের জন্য উৎসর্গ করলাম নিজেকে।

জনগণের আস্থার মূল্য কীভাবে দেবেন?

আমি শুধু একটা জিনিসই বুঝি, সেটা হলো আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি। নির্বাচনের আগে অনেক প্রচারণা ও প্রতিশ্রুতি হয়েছে। এবার নীরবে কাজ করে যাওয়ার পালা। আমি তা-ই করব। আমার নির্বাচনী এলাকার বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছে করাইল বস্তি। সাধারণত বস্তির জনগোষ্ঠী একটু অনগ্রসর হয়। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। আমি প্রচারণার জন্য যখন সেখানে গিয়েছি, তখন ওখানকার অনেকে অনেক সমস্যার কথা বলেছেন। চেষ্টা করব আগামী পাঁচ বছরে সেসব সমস্যা একটা একটা করে সমাধান করতে। শুধু করাইল নয়, ভাসানটেকেও দরিদ্র মানুষ রয়েছে। আমার পরিকল্পনা এখানে শৈল্পিক বিপ্লব ঘটানো। আর এখানকার সব শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করা অগ্রাধিকারভাবে মাথায় রেখেছি।

সার্বিকভাবে গুলশান-বনানীকে একটা পরিচ্ছন্ন এলাকায় পরিণত করতে চাই। যেহেতু এটা একটা ডিপ্লোম্যাটিক জোন, তাই এখানকার অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে দেশের ভাবমূর্তি। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের কাছে আহ্বান জানাব আমাকে একটু সহায়তা করার জন্য। আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এই এলাকাকে বাংলাদেশের মডেল আসন বানাতে চাই। এখানে কোনো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি থাকবে না। জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে প্রতিটা ক্ষেত্রে।

সাংসদ ফারুকের সিনেমা নিয়ে কোনো ভাবনা আছে?

আমি তো সিনেমারই মানুষ। সিনেমাই তো আমাকে আজকে এই পর্যন্ত এনেছে। আমার প্রচারণায় সিনেমা জগতের এ সময়ের সব জনপ্রিয় তারকা অংশ নিয়েছে। নায়ক ফারুক যখন সংসদে যাবে, তখন নিশ্চয়ই সিনেমার সমস্যা-সম্ভাবনা সেখানে তুল ধরবে।

নেতাদের সব সময় কাছে পাওয়া যায় না। সাধারণ মানুষের এই প্রচলিত অভিযোগ কীভাবে দেখবেন?

অভিযোগটা একেবারে অমূলক না। অনেকেই নেতাদের আশপাশে ভিড়তে পারে না। কিন্তু আমার দরজা এই আসনের সবচে ধনী ব্যক্তির জন্য যেমন, তেমনি একজন প্রান্তিক মানুষের জন্যও সব সময় খোলা থাকবে। আমি সারাক্ষণ সবার মাঝে ছায়া হয়ে থাকার চেষ্টা করব। কেউ যাতে অভিযোগ না তুলতে পারে যে আমাদের এমপি সাহেব আমাদের কোনো কাজে আসেনি।

ভোটের দিনের পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

প্রথমে আমার ১৭ আসনের কথা বলি। এই আসনে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হয়। কোনো ধরনের অভিযোগ তোলেননি কেউ। ভোট দেওয়ার লাইনে মানুষের দাঁড়িয়ে থাকা ছিল চোখে পড়ার মতো। এমন পরিস্থিতি সারা বাংলাদেশেই ছিল। আমাদের দেশের নির্বাচনের যে আবহমানকালের সংস্কৃতি তা ভাঙতে সক্ষম হয়েছেন শেখ হাসিনা। এই লৌহমানবী দেখিয়ে দিয়েছেন কোনো ধরনের সহিংসতাবিহীন ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব।

আপনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আন্দালিভ রহমান পার্থ ভোট বর্জন করেছেন।

শুধু পার্থ একা নয় তো। বিএনপির আরও অনেকে এই কাজ করেছে। এটা স্রেফ জনসম্পৃক্ততা না থাকার বহিঃপ্রকাশ। যখনই বুঝল জনগণ তাদের ভোট দিচ্ছে না, তখন ভোট বর্জন করেছেন। এটা তো বিএনপির পুরনো অভ্যাস।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিনোদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :