এই জয় বাংলাদেশের: মমতাজ

প্রকাশ | ০১ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:০৩

রুদ্র রুদ্রাক্ষ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন সংগীতশিল্পী মমতাজ। ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মঈনুল ইসলাম খান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩১ ভোট। ঢাকা টাইমসের সঙ্গে এক আলাপে তিনি বর্ণনা করেছেন টানা দ্বিতীয়বার জনপ্রতিনিধি হওয়ার নেপথ্যের কারণ, জানিয়েছেন নানা নতুন প্রতিশ্রুতির কথা।

নির্বাচিত হওয়ার পর অনুভূতি কেমন?

-যেকোনো জয়ই আনন্দের। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল সার্বভৌমত্বের লড়াই। বিএনপি-জামায়াতের খোলসের মধ্য থেকেই এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। সুতরাং এবারের নির্বাচনে বিএনপি জিতে গেলে জিতে যেত স্বাধীনতাবিরোধী জোট। এই দিক থেকে এই জয়টা বাংলাদেশের জয়। আর বাংলাদেশের জয়ে আমরা উল্লসিত হব এটা স্বাভাবিক।

টানা দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার নেপথ্যে কি কারণ রয়েছে বলে মনে করেন?

-জনগণের ভালোবাসা। শুনুন মানুষ তার এমপির কাছে উন্নয়ন চায়। উন্নয়ন হচ্ছে জনগণের ভালোবাসা পাওয়ার একমাত্র সিঁড়ি। এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার নীতি। তিনি এই নীতিতে দেশ পরিচালনা করেছেন। আমিও চেষ্টা করেছি তাকে অনুসরণ করার। এটাই আমাকে সফলতা এনে দিয়েছে বলে আমি মনে করি।

এমপি মমতাজের সফলতা-ব্যর্থতা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

-সফলতা-ব্যর্থতার খতিয়ান দেবে জনসাধারণ, আমি নই। আমি আসলে মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। আসলে আধুনিকতার তো শেষ নেই। উন্নয়নেরও শেষ নেই। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করে গেছি। এর প্রতিদান জনগণ ভোটবিপ্লবের মাধ্যমে দিয়ে দিয়েছে। এবার আমার অসমাপ্ত কাজগুলো করে ফেলতে হবে। উন্নয়নের যে ধারা সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জবাসী দেখেছে সেই ধারাই অব্যাহত থাকবে এই আশাবাদই ব্যক্ত করছি। আর এরপরের নির্বাচনে আমাকে জনগণের দ্বারে ভোট চাইতে যেতে হবে না। জনগণ আমার উন্নয়নের চিত্র দেখেই আমাকে বারবার নির্বাচিত করবে এভাবেই আমি উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজিয়েছি।