লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, লক্ষ্মীপুর
 | প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩১

লক্ষ্মীপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। পরে হামলাকারীকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে পুলিশে দেওয়া হয়।

হামলাকারীর নাম দেলোয়ার হোসেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেতার নাম ফজলুর রহমান। তিনি লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বুধবার সকালে সদর উপজেলার আটিয়াতলীতে ঠাকুরবাড়ির নতুন মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরে দুইজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে হাসপাতালে ফজলুর রহমানের ওপর হামলা করেন দেলোয়ার হোসেন। এতে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা করে তারা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ সময় সদর থানার উপপরিদর্শক আবদুল আলীম, সহকারী উপপরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন, কনস্টেবল নয়ন মিয়া ও মেহেদী হাসানসহ চার পুলিশ সদস্য; সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ ১০ জন।

আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে যুবলীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান, রুপম হাওলাদার ও ইকবাল হোসেন হিমল ক্বারীসহ ১০ যুবলীগ নেতাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, ফজলুর রহমানকে হত্যা চেষ্টা মামলায় কারাগারে ছিলেন

দেলোয়ার হোসেন। মঙ্গলবার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি এলাকায় ফেরেন। বুধবার সকালে একটি ছুরি নিয়ে ফজলুর রহমানের ওপর হামলা চালান তিনি। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা কর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আহত দুই জনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

খবর পেয়ে শহরের যুবলীগ নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে যান। এ সময় দেলোয়ারের ওপর হামলার চেষ্টা করেন তারা। পুলিশ তাদের বাধা দিলে এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা ও দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে।

হাসপাতালে পুলিশ ও শহরে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা (পশ্চিম) যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুবুর রহমান, সদর পূর্ব যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রুপম হাওলাদার, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ইকবাল হোসেন হিমলক্বারী, যুবলীগ নেতা আজগর হোসেন, মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ উল্যাহসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০টি মোটরসাইকেল জব্দ করে নিয়ে যায়।

জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন টিপু বলেন, ‘আমিসহ ১০জন নেতাকর্মী আহত হই। সামান্য ভুল বুঝাবুঝিতে নেতাকর্মীদের আটক করে নিয়ে পুলিশ।’

পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন জানান, পূর্বশত্রুতায় আওয়ামীলীগ নেতার ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেন। দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে গেলে পাল্টা হামলার স্বীকার হয় পুলিশ। এতে ৪ পুলিশ আহত হয়। হাসপাতাল ও শহরের বিভিন্নস স্থানে অভিযোন চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে হাসপাতাল ও শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :