সুবর্ণচরে ধর্ষিতার পাশে মানবাধিকার কমিশন

নোয়াখালী প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২৯

সুবর্ণচরে ধর্ষিতা নারীর সঙ্গে দেখা করে তার বক্তব্য নিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তাকে আইনি সহায়তা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকও। তিনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাসও দিয়েছেন।

বুধবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের একটি দল নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে। কমিশনের সদস্যরা হচ্ছেন আল মাহমুদ ফাইজুল কবির, গাজী সালাহ উদ্দিন ও স্ইুজমিতা পাইক।

এ সময় মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিস কেন্দ্রের তিন সদস্যের একটি তদন্ত দলও হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারা হচ্ছেন সেলিনা আক্তার, নার্গিস আক্তার ও হাসিবুর রহমান।

তদন্ত দলের প্রধান আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর বলেন, ‘খবর পেয়ে খতিয়ে দেখার জন্য এসেছি। আমরা ওই নারী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। মেডিকেল প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেওয়া হবে।’

ভুক্তভোগী নারীকে আইনি সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানিয়ে কমিশনের প্রতিনিধি বলেন, ‘যে কোনো অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন ভুক্তভোগীর পাশে থাকবে।’

গত রবিবার ভোট কেন্দ্রে বাকবির্তকের জের ধরে দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে চার সন্তানের জননীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর স্বামী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভোট কেন্দ্রে বিক বিতণ্ডার জেরে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

পরে ওই ব্যক্তি নয় জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এখানে অবশ্য তিনি ভোট সংক্রান্ত কোনো কিছু উল্লেখ না করে পূর্ব শত্রুতার কথা তুলেছেন। প্রধান আসামিসহ তিনজন এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তিন সদস্যাও হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছে। এরা হলেন সেলিনা আক্তার, নার্গিস আক্তার ও হাসিবুর রহমান।

সেলিনা আক্তার বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, কোন প্রেক্ষাপটে কী ঘটেছে এসব জানার চেষ্টা করব আমরা। বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কথা বলব। ঘটনাস্থলে যাব। বিস্তারিত তদন্ত করব।’

বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। সেখান থেকে তিনি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করেন।

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ বলেন, ‘ডিআইজি বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে অপরাধীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :