বাঘের থাবা থেকে বাঁচলেন তিনি

প্রকাশ | ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:১৩ | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:২৩

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রাপ্তবয়স্ক রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অতর্কিত আক্রমণের মুখেও ভরকে না গিয়ে অসীম সাহসিকতায় জীবন বাঁচালেন একজন। তার নাম মাসুম হাওলাদার। পেশায় জেলে।

সুন্দরবনে মাছ শিকার করাই মাসুমের পেশা। আর এই কাজ করতে গিয়েই তিনি আক্রমণের শিকার হন মাংসাসী প্রাণীটির। তবে আধা ঘণ্টার লড়াইয়ে তিনি নিজের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন। তবে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তার শরীর। যদিও চিকিৎসকার জানাচ্ছেন, আপাতত শঙ্কামুক্ত মাসুম।

বুধবার বিকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের তাম্বুলবুনিয়া এলাকায় বাঘ হামলে পরে মাসুমের ওপর। এখন তিনি শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

মাসুমের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে। তিনি আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে।

মাসুমের দুই সহযোগী মামুন হাওলাদার ও তার ছোট ভাই জাহিদুল হাওলাদার জানান, সকালে সুন্দরবনে তাম্বলবুনিয়া খাল এলাকায় বড়শি দিয়ে মাছ শিকারে যান তারা। বিকাল তিনটার দিকে মাসুম খালের পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ঝোপ থেকে বেরিয়ে আসা একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ধস্তাধস্তি চলে। এক পর্যায়ে তার ছোট ভাই জাহিদুল চিৎকার শুরু করলে আশেপাশে থাকা অন্য জেলেরা লাঠিসোটা নিয়ে ছুটে আসে। তখন বাঘ মাসুমকে ছেড়ে বনে ফিরে যায়।

ততক্ষণে বাঘের আক্রমণে মাসুমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বাঘের নখ ও দাঁতের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়।

শরণখোলা হাসপাতালের চিকিৎসক অসীম কুমার সমাদ্দার জানান, মাসুমের তার বাম হাতে বাঘের নখের আচড় এবং ডান পায়ে দাঁতের কামড়ের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান বলেন, সুন্দরবনের ভেতরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের নিরাপদে থেকে সংঘবদ্ধভাবে মাছ শিকার করতে তারা সতর্ক করে থাকেন।