সাংসদদের শপথ আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২৭ | প্রকাশিত : ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৪৪
ফাইল ছবি

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আজ শপথ নেবেন। জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ সকাল ১০টায় তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। আর স্পিকারকে শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি।

নবনির্বাচিত মোট ২৯৮ জন সংসদ সদস্যের নামে গত মঙ্গলবার গেজেট জারি করা হয়। বাকি দুই আসনের মধ্যে গাইবান্ধা-৩ আসনে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে নির্বাচন হয়নি।

এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন করতে হবে বলে সেখানে ফলাফল স্থগতি রয়েছে। বিধান অনুযায়ী গেজেট জারির তিন দিনের মধ্যে শপথ নিতে হবে। তবে কেউ যদি শপথ না নিয়ে থাকেন, নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে হবে। আর এই ৯০ দিনের মধ্যে কেউ শপথ না নিলে তার আসনটি শূন্য হবে।

সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য সংসদ সচিবালয় পুরোদমে প্রস্তুত বলে আইন শাখার কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। সেখানে সাজ সাজ রব। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে শপথকক্ষ।

শপথ পড়ানোর বিষয়ে সংবিধানের ১৪৮-এর ২ (ক)-তে বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ব্যক্তি যে কোনো কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে ওই শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি।’

সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশন ডাকার বিষয়ে সংবিধানে বাধ্যবাধকতা আছে। এ প্রসঙ্গে সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (২)-এর (১) দফায় বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের যে কোনো সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হইবার ত্রিশ দিনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য সংসদ আহ্বান করা হইবে।’

নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নামে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে সরকারিভাবে ফল ঘোষণা করা হয়। কাজেই গেজেট প্রকাশের দিন থেকে এক মাসের মধ্যে সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে।

আগামী সপ্তাহেই নতুন মন্ত্রিসভা

এদিকে আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা আসতে পারে নতুন মন্ত্রিসভার। প্রথমে শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা শপথ নেবেন। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি তাদের শপথ পড়াবেন। এর মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যেই নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা হয়ে যাবে। আর নতুন মন্ত্রিসভা কেমন হবে, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।

গতবারের চেয়ে মন্ত্রিসভা বড় না ছোট হবে, মহাজোটের শরিকদের কেউ এবারও মন্ত্রী থাকবেন কি না, এসব বিষয় উঠে আসছে আলোচনার টেবিলে। তবে নতুন মন্ত্রিসভায় কারা স্থান পাচ্ছেন, এটা একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। একই সঙ্গে নতুন সদস্যদের জন্য গাড়িও প্রস্তুত রাখবে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর (পরিবহন পুল)। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

গত রবিবার দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে। এর মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসছে মহাজোট।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয়। ১২ জানুয়ারি গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। তখন শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ৪৮ সদস্যবিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়।

ওই সরকারে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী এবং দুজন উপমন্ত্রী ছিলেন। পরে কয়েক দফা রদবদল হওয়ায় মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়ায় ৫২ সদস্যের।

রবিবারের ভোটে ২৯৮ আসনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ ২৫৯, জাতীয় পার্টি ২২, ওয়ার্কার্স পার্টি তিন, জাসদ দুই, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দুই, তরীকত ফেডারেশন এক, বাংলাদেশ জাসদ এক, জাতীয় পার্টির (জেপি) একজন জয়ী হয়েছেন। বিএনপি জোট অর্থাৎ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র সাতটি (বিএনপি পাঁচ, গণফোরাম দুই) আসন। স্বতন্ত্রসহ অন্যরা জয় পেয়েছেন তিনটি আসনে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :