অসুস্থ আশরাফের শপথ কীভাবে?
রবিবারের ভোটে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের মধ্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আজ শপথ নেওয়া হবে না। তিনি অসুস্থ এবং থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন।
বিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে সদস্যপদ শূন্য হয়ে যাবে। কিন্তু আশরাফ এই কদিনের মধ্যে ফিরতে পারবেন, এমন নিশ্চয়তা নেই। তাহলে তার ক্ষেত্রে কী হবে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এরই মধ্যে বিএনপি জানিয়ে দিয়েছে, তাদের সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন না। আর নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে একটি নির্ধারিত সময়ের পর সেসব আসনও শূন্য হয়ে যাবে আর সেখানে হবে উপনির্বাচন।
তাহলে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে বিজয়ী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কী হবে?Ñজানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘যৌক্তিক গ্রাউন্ড থাকলে ৯০ দিনের বিষয়টি তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। স্পিকার যথার্থ কারণে এই মেয়াদ বাড়াতে পারবেন।’
সংসদ সদস্য পদ শূন্য হওয়া-সংক্রান্ত সংবিধানের ৬৭(১) (ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে ৯০ দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিতে অসমর্থ হলে তার সংসদ সদস্য পদ শূন্য হয়ে যাবে। এখানে শর্ত আছে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পূর্বে স্পিকার যথার্থ কারণে তাহা বর্ধিত করিতে পারিবেন।’
আইন বিশেষজ্ঞরা জানান, আশরাফ যদি সশরীরে এসে শপথ না-ও নিতে পারেন, তাহলে তিনি ঘোষণাপত্রে সই করতে পারবেন। আর সেটাও না পারলে তার টিপসই দেওয়ারও সুযোগ আছে।
ভোটে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে আশরাফের টিপসই নেওয়া হয়। তবে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন এই নেতার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো এবং তা দ্রুত উন্নতির পথে আছে বলে জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। এ কারণেই ওই আসনে মশিউর রহমান হুমায়ুনকে বিকল্প প্রার্থী করেও পরে আশরাফকেই দেওয়া হয় চূড়ান্ত মনোনয়ন।