চলে গেলেন ‘সহযোদ্ধা’ দিব্যেন্দু পালিত

প্রকাশ | ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫৪ | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৪

ঢাকা টাইমস ডেস্ক

যেন অনেকটা হাত ধরেই তারা চলে গেলেন। সাতসকালে দিকশূন্যপুরের দিকে গেলেন কবি পিনাকী ঠাকুর। আর বেলা খানিকটা গড়াতেই খবর এল ‘সহযোদ্ধা’ খ্যাত দিব্যেন্দু পালিত আর নেই। ৭৯ বছর বয়সে কলকাতার একটি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যু হয় এই সাহিত্যিকের।

ফুসফুসে গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে গত বুধবার দিব্যেন্দু পালিতকে অসুস্থ অবস্থায় কলকাতার কেপিসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হানপাতালে ভর্তির পরদিনই মায়া কাটালেন তিনি।

দিব্যেন্দু পালিতের জন্ম ১৯৩৯ সালে। অবিভক্ত ভারতের ভাগলপুরে। জীবনের সিংহভাগ সময় কেটেছে কলকাতায়। সহযোদ্ধা উপন্যাসের জন্য ১৯৮৪ সালে পান আনন্দ পুরস্কার। ১৯৯৮ সালে ‘সাহিত্য অকাডেমী এবং ১৯৯০ সালে বঙ্কিম পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি।

সাহিত্যজগতে দিব্যেন্দু পালিতের যাত্রা হয়েছিল মাত্র ১৬ বছর বয়সে। ১৯৫৮ সালে বাবার মৃত্যুর পড়ে কলকাতা চলে আসেন। হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় সাব এডিটর হিসাবে কাজ শুরু করেন।

১৯৫৫ সালে তার লেখা প্রথম গল্প ‘ছন্দপতন’ ছাপা হয়েছিল আনন্দবাজারের রবিবাসরীয়তে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘তুলনামূলক সাহিত্য’ বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করেছেন তিনি।

১৯৬৫ সালে যোগ দেন বিজ্ঞাপন জগতে। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ‘ক্ল্যারিয়ন – ম্যাকান অ্যাডভার্টাইজিং সার্ভিসেস’ নামক বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। স্টেটসম্যান পত্রিকার হয়েও সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। এই সূত্রেই জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। সেই ছাপ ছিল তার লেখায়।

১৯৪৬ সালের দাঙ্গা, নকশাল আন্দোলন, নাগরিক সভ্যতার জটিলতা উঠে এসেছে তার অধিকাংশ উপন্যাসে। দিব্যেন্দুর লেখা ‘মূকাভিনয়’ গল্পটি নিয়ে ২০০৫ সালে শ্যামানন্দ জালান একটি ছবিও তৈরি করেছিলেন। তপন সিংহও তার লেখা গল্প ‘অন্তর্ধান’ নিয়ে ছবি বানিয়েছেন।

বুদ্ধদেব বসুর লেখা কবিতা দিব্যেন্দু পালিতকে প্রভাবিত করেছিল বেশ। দেশ পত্রিকার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘শৈশবের পড়াশোনার ধরনটা খুব গোছালো ছিল না। আমার সাহিত্যবোধের উপর বুদ্ধদেব বসুর প্রভাবটা ছিল শুরু থেকেই।

ঢাকাটাইমস/০৩জানুয়ারি/এইচএফ/ডিএম