নারী সমাজ আতঙ্কিত: সেলিমা রহমান

প্রকাশ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জেরে নারীকে ধর্ষণের আলোচিত ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেছে বিভিন্ন সংগঠন। ভোটের রাতে ওই নারীর ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সবাই সরকারি দলের কর্মী। এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। ঘটনার নির্দেশদাতা আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।   

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘আমরা শুনেছি,  গণধর্ষণের ঘটনায় সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা চাই তাদের ফাঁসি হোক। একটি ঘটনা ঘটলে সরকার আরেকটি ঘটনা ঘটিয়ে সেই ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। সেটা যেন এবার না হয়।’

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘একের পর এক নারী ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন ও শিশু নির্যাতনে নারী সমাজ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু সরকার জোর করে গণতন্ত্রকে দাবিয়ে রেখে উল্লাস করছে।’

সেলিমা বলেন, ‘অপরাধীদের কাছে আমাদের বিচার চাওয়ার কিছু নেই। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যারা অপরাধ করে তারা অপরাধীদের বিচার করে না। যারা আজকে বিনা ভোটে জোর করে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের ভেতর অপরাধবোধ বলতে কিছু নেই। তারা সবাই অপরাধী।’

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আমরা এখানে শুধু প্রতিবাদ করার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু এই সরকারের প্রশাসন আমাদের দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে চায়নি। সুবর্ণচরে যে নৃশংস গণধর্ষণের ঘটনা ঘটলো তার প্রতিবাদের জন্য আমরা এখানে দাঁড়িয়েছিলাম। ধানের শীষে ভোট দিয়ে মহাপাপ করেছে বলে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।’
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শামসুন নাহার, শাহিদা রফিক প্রমুখ।

এদিকে একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। সংগঠনটির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ধর্ষিতা নারী এখন হাসপাতালে আছেন। তার স্বামী মামলা করেছেন, কিন্তু এজাহারে গণধর্ষণের নির্দেশদাতাকে অন্তর্ভুক্ত করেনি পুলিশ। পরবর্তী সময়ে আন্দোলনের চাপে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

বক্তারা বলেন, ‘এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে ভবিষ্যতে এ  দেশে নারী সমাজের চলাচল বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাই এসব সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে ফাঁসি দিয়ে  দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে।’

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি রওশন আরা রুশোর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু, উপদেষ্টাম-লীর সদস্য নূরজাহান ঝর্না, নারীনেত্রী প্রীতিলতা, জেসমিন আক্তার প্রমুখ।