বেঙ্গলের অনন্য এক পাঠাগার

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:২৭

আল আমিন রাজু, ঢাকাটাইমস

‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়নি’ চিরাচারিত কথাটি সকলেরই জানা। ঠিক তেমনি ইট-পাথরের এ ব্যস্ত নগরিতে বই পড়ার মতো সময় আমাদের হয়ে ওঠে না। ব্যস্ততার ঘোরে নিজেকে দেওয়ার সময় নেই নগরবাসীর হাতে। তবুও প্রয়োজন একটু ফুরসতের। যান্ত্রিকতা পরেও যে ফুরসত, তা বই পড়ে কাটাতে পছন্দ করেন অনেকে। আর তাদের জন্য বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে বিশালাকার ও সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারটি। রয়েছে ৫০ হাজারের বেশি বইয়ের এক বিশাল সমারহ।

পাঠাগারে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। এখানে নেই কোনো ব্যস্ত নগরীর ছোপ। সুনসান নীরবতা, কেউ গভীর মনোযোগে বই পড়ছে, কেউবা বই বাছাই করছে কোন বইটি পড়বেন। আবার কেউ চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছেন গল্প-কবিতা-উপন্যাসের গভীরে।

শিশুদের জন্য নির্ধারিত করা আছে আলাদা জায়গা। দেখা মিলছে শিশুদের গল্পের নানান চরিত্রের ছবি দেখা, গল্পের বই পড়া।  কেউ বাবা-মায়ের হাত ধরে শিখছে বা মায়ের পড়ে শোনানো গল্পের মাঝে হারাচ্ছে সদ্য স্কুলে ভর্তি হওয়া শিশুরা।

৬ বছর বয়সী পাপড়ি মায়ের হাত ধরে এসেছে গ্রন্থাগারে। অর্ধগোছালো শব্দে জানাল নিজের অনুভূতি। সে বলে, ‘আমার এখানে আসতে মজা লাগে, খুব সুন্দর। অনেক বই আছে, অনেক ছবি আছে, সুন্দর সুন্দর গল্প। আম্মু আমাকে অনেক গল্প শোনায়, আমার এখানে আসতে ভাল লাগে।’ 

বেঙ্গল বইয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন গ্রন্থাগারের গণসংযোগ কর্মকর্তা আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ব্যস্ত নগরির বাসিন্দাদের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ‘বেঙ্গল বই’ নামের এ পাঠাগার’। 

এখানে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ পাঠক বই পড়তে আসেন, দিন দিন পঠকদের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এ ছাড়াও এখানে বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা এবং উন্নয়নের জন্য বেঙ্গল বই বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এখানে লেখকদের নতুন বইয়ের মোড়ক উম্মোচন, বই নিয়ে আলোচনা, বিভিন্ন লেখকরা তার নিজের বই নিয়ে আলোচান করেন। প্রতি সপ্তাহে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজন করা হয়।

পাঠকরা চাইলেই পছন্দের বইটি একেবারে নিজের জন্য নিয়ে যেতে পারবেন কারণ এখানে আছে বই কেনার সুযোগ। এ ছাড়াও আছে বই দেওয়া নেওয়ার সুযোগ, আপনার বাসায় যদি পড়া বই থাকে তাহলে দুটি বই দিয়ে নিতে পারবেন একটি বই। এ ছাড়াও যে কেউ চাইলে প্রিয় বইটি একেবারে দিয়ে দিতে পারেন।

(ঢাকাটাইমস/৬জানুয়ারি/এজেড)