মন্ত্রিত্ব পেয়ে পিতার স্বপ্ন পূরণ করলেন শরীফ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
 | প্রকাশিত : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:৩৪

‘প্রয়াত পিতা এম. শামছুল হক ছিলেন পাঁচবারের সংসদ সদস্য। স্বপ্ন ছিল মন্ত্রী হবেন। কিন্তু সে আশা পূরণ হবার আগেই চলে গেলেন চিরনিদ্রায়। তবে এবার মন্ত্রিত্ব পেয়ে পিতার স্বপ্ন পূরণের পথে হাঁটছেন পুত্র শরীফ আহম্মেদ।’

ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সংসদ সদস্য শরীফ আহম্মেদ সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় সোমবার বিকালে ঢাকাটাইমসের সাথে আবেগ-আপ্লুতভাবে এ কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. হেকিম মণ্ডল।

প্রয়াত শামছুল হকের বিশ্বস্ত সহচর ফুলপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আ. হেকিম মণ্ডল আরো বলেন, ‘শরীফ আহম্মেদকে মন্ত্রী করায় উচ্ছ্বসিত ফুলপুর-তারাকান্দাবাসী। আশা করছি, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নগুলো এবার আলোর মুখ দেখবে। উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হবে অবহেলিত ফুলপুর-তারাকান্দা।’

প্রয়াত শামছুল হকের পুত্র শরীফ আহম্মেদ ২০১৪ সালে এ আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে তিনি মহাজোটের মনোনয়নে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ফুলপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, শরীফ আহম্মেদ যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান। ইতোমধ্যে তার হাত ধরেই এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত সাংসদ শামছুল হকের বর্ণাঢ্য কর্মযজ্ঞের কথা মনে রেখেছেন। শরীফ আহম্মেদকে মন্ত্রিত্ব দেয়ার মধ্যদিয়ে তা প্রমাণ হয়েছে। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে।’

প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহম্মেদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই।’

প্রসঙ্গত, ভাষা সৈনিক শামছুল হক ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর। ১৯৩০ সালের ২৯ জানুয়ারি তারাকান্দা থানার ধলিয়াকান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করে ১৯৫২ সালে আনন্দ মোহন কলেজে অধ্যয়নকালে ভাষা আন্দোলনে গ্রেপ্তার হয়ে ছয় মাস কারাবরণ করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গনে বলিষ্ঠ সংগঠক ও যোদ্ধা হিসেবে উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ময়মনসিংহ-২ ফুলপুর-তারাকান্দা আসনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও ১৯৮৮ সালে তিনি ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই সাথে তিনি ১৯৯৫ এবং ১৯৯৬ সালে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতিও।

(ঢাকাটাইমস/৭জানুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :