যৌন নির্যাতন মামলা
আহসানউল্লাহর শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল
যৌন নির্যাতন অভিযোগের মামলায় আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১০ মার্চ ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য দিনে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে হাজির না করায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক খাদেমুল কায়েশ নতুন তারিখ ধার্য করেন।
এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত সাতজনের সাক্ষ্য নেয় ট্রাইব্যুনাল। এদিকে মামলার আসামি শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস বর্তমানে পলাতক। গত ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ১৮ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে জামিননামা দাখিল করে কারামুক্ত হন। আপিল বিভাগ গত ২২ মে তার জামিন বাতিল করার পর থেকে পালাতক তিনি।
২০১৬ সালের ৩০ জুলাই নারী সাহায়তা ও তদন্ত বিভাগে কর্মরত পুলিশের এসআই আফরোজ আইরীন কলি আসামি মাহফুজুর রশিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমর আইনের ৯ এর ৪(খ) ধারায় শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের চেষ্টা এবং ১০ ধারায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগে
বং ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ৯ (খ) ধারায় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়।
এরপর ওই বছর ৩ নভেম্বর আসামির অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জগঠন করে ট্রাইব্যুনাল। ২০১৬ সালের ৪ মে দিবাগত রাতে আহসানউল্লাহ বিশ^বিদ্যালয়ের তড়িত প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফেরদৌসকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ৫ মে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে ৭ মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি।
২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আকস্মিক আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। তৎক্ষণাৎ বৈঠকে বসে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
(ঢাকাটাইমস/৮জানুয়ারি/মোআ)