রশীদ সরকারকে আর নেবে না গাইবান্ধা জাপা

জাতীয় পার্টি থেকে বের হয়ে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ নির্বাচন করা আব্দুর রশীদ সরকারের আবার দলের স্বপদে ফেরার ঘোষণায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন দলের নেতাকর্মীরা। তারা আব্দুর রশীদ সরকারকে আর কোনোভাবেই জাতীয় পার্টিতে গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এ কথা জানান।

আবদুর রশিদ বিএনপির ধানের শীষে প্রতিযোগিতা করে গত ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে পরাজিত হন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রাগীব হাসান চৌধুরী হাবুল। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশে সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের মতো গাইবান্ধায়ও জেলা নেতারা মহাজোটের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই নির্বাচনে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আব্দুর রশীদ সরকার। তিনি একসময় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ছিলেন। তিনি সেই পদ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আব্দুর রশীদ সরকার তার ব্যক্তিগত কার্যালয়কে জেলা জাতীয় পার্টির অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি ওই অফিসে টাঙানো জাতীয় পার্টির সাইনবোর্ড এবং অফিস ঘরে থাকা জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের ছবি নামিয়ে ছিড়ে ফেলেন। এর মাধ্যমে জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মনে আঘাত করা হয়। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের নাম ব্যবহার করে আব্দুর রশীদ সরকার আবার জাতীয় পার্টিতে স্বপদে ফিরে আসার যে ঘোষণা দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার, জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাহান খান আবু, সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম ঝন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউন্নবী রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম নুরুন্নবী মিঠুল, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য আব্দুল মান্নান সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি আব্দুল জলিল সরকার প্রমুখ।