পুলিশের মামলায় কলেজছাত্রসহ দুইজন কারাগারে

প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:১৯ | আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২৭

ব্যুরো প্রধান, ময়মনসিংহ
ফাইল ছবি

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতির অভিযোগে কলেজছাত্রসহ দুইকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে ময়মনসিংহের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ড. রাশেদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
তারা হলেন- কলেজছাত্র সারোয়ার জাহান ইপেল ও তার বন্ধু ইয়াহিয়া।

আসামি ইপেল ও ইয়াহিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। তবে পুলিশ আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য ১৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

মঙ্গলবার রাতে গফরগাঁও থানার এসআই রুবেল হোসেন পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধার অভিযোগে ইপেল, ইয়াহিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ১৭-১৮ জনকে আসামি মামলা করেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে থানা থেকে ২০ গজ দূরে ইসলামিয়া সরকারি হাইস্কুলের গেইটের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি করছিলেন এসআই রুবেলের নেতৃত্বে একদল থানা পুলিশ। এ সময় কলেজছাত্র সারোয়ার জাহান ইপেল ও তার বন্ধু ইয়াহিয়ার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে কাগজপত্র দেখতে চায় পুলিশ। এ নিয়ে এক পর্যায়ে ইপেল ও তার বন্ধু ইয়াহিয়ার সাথে এসআই রুবেলের ধস্তাধস্তি এবং হাতাহাতি হয়। পরে তাকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন কলেজছাত্র ইপেল।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই পলিশ কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ওই কলেজ শিক্ষার্থীরা। গফরগাঁও বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। খবর পেয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর ছুটে যান গফরগাঁও।

কলেজছাত্র ইপেল অভিযোগ করেন, ‘কলেজে যাওয়ার সময় তার মোটরসাইকেল আটকিয়ে কাগজ দেখাতে বলেন পুলিশ কর্মকর্তা রুবেল হোসেন। সে সময় কাগজপত্র বাসায় রয়েছে বলে জানাই। ওই সময় পুলিশ কর্মকর্তা উত্তেজিত হয়ে বলেন- ‘গোন্ডামি করিস’। তারপরেই পেটাতে শুরু করেন। পরে টেনে হিঁচড়ে আমাকে থানায় নিয়ে যান। ’

তবে উপ-পরিদর্শক রুবেল হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, ‘থানার সামনে দিয়ে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে থামতে বলা হয়। তখন সে আরো গতি বাড়িয়ে চলে যেতে থাকলে গতিরোধ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কাগজপত্র দেখলে চাইলে উল্টো অসদাচারণ করে।’

(ঢাকাটাইমস/৯জানুয়ারি/এলএ)