দুই বছরেও চালু হয়নি চিলমারী নদীবন্দর

মমিনুল ইসলাম বাবু, কুড়িগ্রাম
 | প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:২৬

সরকারিভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাসহ উদ্বোধনের দুই বছর পার হলেও কার্যক্রম চালু হয়নি কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দরের। নামমাত্র ঘোষণায় উন্নয়ন বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে এলাকার জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে গেলে এলাকার লোকজন জানান, অতীতে এ বন্দরে ভিড়তো দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে আসা জাহাজ ও বড় বড় নৌকা। মহাজন, ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের পদচারণায় দিন-রাত মুখরিত থাকতো।

তৎকালীন সময়ে বন্দরে মালামালের বস্তা বা পাটের গাইটে ঘাটের কুলিরা বড় বড় সিল মেরে পরিবহনের জন্য বুকিং করতেন। সিল মারার এ কার্যক্রম দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসতেন এবং বলতেন ‘চলো সিল মারি’ । জনমুখের সেই ‘সিল মারি’ থেকেই আজকের ‘চিলমারী’ নামকরণ করা হয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন।

লোকজনের অভিযোগ, তারা ফের জমজমাট সেই অবস্থার স্বপ্ন দেখছিলেন ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান চিলমারী নদীবন্দরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাসহ উদ্বোধন করার পর থেকেই। কিন্তু দুই বছরেও বন্দরের কার্যক্রম চালু না হওয়ায় জাহাজ ও বড় বড় নৌকা ভিড়তে পারে না। ফলে তাদের স্বপ্নও পূরণ হয়নি।

নদী সংস্কারে ড্রেজিং ও নদীর দুই তীর বাধাসহ ঘোষিত নদীবন্দরের সকল কার্যক্রম চালু করা হলে সহজে জাহাজ চলাচলে এলাকায় উন্নয়নের ছোয়া লাগতো বলেও মনে করেন তারা।

চিলমারী রমনা নৌঘাট থেকে এখনো রৌমারী ও রাজিবপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচল ও পণ্য পরিবহন করা হয়। কিন্তু সেটি চলে কেবলমাত্র সামান্য কয়েকটি খেয়া নৌকায়। চরের বাসিন্দারা সেই খেয়া নৌকার জন্য এখনও অপেক্ষায় থাকেন। বিভিন্ন পণ্য ও মালামাল নৌকায় ওঠা-নামা করতে রমনা নৌঘাট এলাকায় রয়েছেন অনেক শ্রমিকও।

ঘাটশ্রমিক বল্টু, মোরশেদ, মুকুল, মঞ্জুুসহ অন্যরা ঢাকা টাইমসকে বলেন, শুধুমাত্র রৌমারী, রাজিবপুর ও চরের গুটিকয়েক যাত্রীর মোটরসাইকেল এবং কিছু মালামাল ওঠা-নামা করিয়ে তারা যা আয় করেন, তা দিয়ে সংসারের খরচ যোগানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই তারাও বন্দর চালু হওয়ার আশায় দিন গুণছেন।

পারে সারি সারি দাঁড়ানো অটোরিকশার চালকরা জানান, দিনে ওপার থেকে কয়েকটি মাত্র নৌকা চলাচল করে। সেই যাত্রীদের জন্য অপেক্ষায় থাকেন তারাও। যাত্রীর চেয়ে তাদের গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি। নৌবন্দরের র্কাযক্রম চালু না হওয়ায় তারাও হতাশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :