আলোর ফেরিওয়ালা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:২৭

বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে গ্রাহক হয়রানি ও দালালমুক্তভাবে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ‘আলোর ফেরিওয়ালা’। টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেলদুয়ার জোনাল অফিস ইতিমধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। প্রতিদিন নতুন নতুন সংযোগও পাচ্ছে গ্রাহকরা। এতে একদিকে গ্রাহক হয়রানি কমে আসছে অন্যদিকে প্রত্যেকটি বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত হচ্ছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ পৌঁছে দিতে পল্লী বিদ্যুতের এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে গ্রাহক ও বিদ্যুৎ অফিস আশা করছে।

প্রকল্পটির মাধ্যমে একটি ভ্যানগাড়িতে মালামাল, একজন লাইনম্যান ও একজন প্রকৌশলী গ্রামে গ্রামে ঘুরছে। কারও বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন হলে আবেদনকারীর ঘরের দূরত্ব ১৩০ ফুটের মধ্যে হলে ১০০ টাকার আবেদনের সঙ্গে ৪০০ টাকার জামানতসহ প্রয়োজনী কাগজপত্র দিলে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে।

টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেলদুয়ার জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার সরকার ঢাকা টাইমসকে বলেন, আগে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পেতে গ্রাহকদের বিড়ম্বনার শেষ ছিল না। গ্রাহক হয়রানি দূর করতে এবং ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ সহজেই নিশ্চিত করতে পল্লী বিদ্যুৎ ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ প্রকল্পটি চালু করেছে। গত মঙ্গলবার প্রকল্পটি উদ্বোধনের পর থেকে গ্রাহকদের যথেষ্ট সাড়া মিলেছে। একটি ভ্যানে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের একটি নির্ধারিত টিম প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারাই সংযোগ চাচ্ছে তাদের কাগজপত্র ঠিক করে তাৎক্ষণিক সংযোগ দেয়া হচ্ছে। গ্রাহকদের চাহিদা থাকা পর্যন্ত এ প্রকল্প চলবে বলেও তিনি জানান।

বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, দেলদুয়ার জোনে কোনো লোডশেডিং নেই। বিদ্যুতের প্রয়োজন ১৫ মেগাওয়াট। বরাদ্দ আছে ২০ মেগাওয়াট। এরপরও মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, লাইনের উন্নয়নমূলক কাজ, খুঁটি বদল, তারের দূরত্ব বৃদ্ধিসহ তার মোটাকরণের কাজে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। একাজ শেষ হলে শিগগির সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১০জানুয়ারি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :