ফাঁকা উত্তরপত্র কিনে জালিয়াতি, শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২০

নাটোরে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রোগ্রামিং ইন সি (৬৬৫৯) বিষয়ের ৩৭১টি উত্তরপত্র জালিয়াতির মূল হোতা মাহমুদুন্নবী মিলনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার রাতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মর্তুজা খান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন।

মাহমুদুন্নবী মিলন নাটোর শহরের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগীয় প্রধান।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন তিনি।

সূত্রে জানা গেছে, বিগত তিন সেমিস্টার ধরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ের উত্তরপত্র প্রতিস্থাপন করতেন শিক্ষক মাহমুদুন্নবী মিলন। এ কাজের জন্য পরীক্ষার্থী প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নিতেন তিনি। আগ্রহী পরীক্ষার্থীরা এ টাকার বিনিময়ে পাসের নিশ্চয়তা পেতেন। টাকা প্রাপ্তির পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর নিকট থেকে পাঁচ হাজার টাকায় ১০০টি করে ফাঁকা উত্তরপত্র কিনতেন তিনি। পরীক্ষার আগের দিন ফাঁকা উত্তরপত্রের তথ্যবহুল প্রথম পৃষ্ঠার শিক্ষার্থীর অংশটুকু ছিঁড়ে পরীক্ষার্থীদের দিতেন মাহামুদুন্নবী। পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময় শেষের কিছু পূর্বে মূল উত্তরপত্রের প্রথম পৃষ্ঠার শিক্ষার্থীর অংশটুকু ছিঁড়ে নিয়ে আগের দিন সরবরাহ করা অংশটুকু কৌশলে উত্তরপত্রের ভেতরে রেখে দিতেন পরীক্ষার্থীরা। ওই রাতেই শিক্ষক মাহমুদুন্নবী আসল উত্তরপত্র সরিয়ে দিতেন এবং পরীক্ষার্থীর আনা ‘শিক্ষার্থীর অংশটুকু’ নিজের কাছে রেখে ফাঁকা উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। পরদিন উত্তরপত্র লেখা হলে আসল উত্তরপত্রের পরিবর্তে সেগুলোই বোর্ডে পাঠাতেন এবং একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেই খাতাগুলো আবার নাটোরেই ফিরে আসত।

তবে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল দাবি করেছেন, মাহমুদুন্নবী তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নন। প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে মাহমুদুন্নবী তার প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করছেন।

নাটোর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আবু সিদ্দিক মামলাটির তদন্ত করছেন। তিনি বলেন, শিক্ষক মাহমুদুন্নবী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উত্তরপত্র জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এ মামলাটি অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ৯ জানুয়ারি নাটোর শহরের বলারীপাড়া এলাকা থেকে ৩৭১টি উত্তরপত্রসহ স্থানীয় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষক মাহমুদুন্নবীকে আটক করে পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/১০জানুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :