রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে মাশরাফিকে হারালেন সাকিব

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৩২ | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫২

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার রংপুর রাইডার্স হারাল সাকিব আল হাসানের দল ঢাকা ডায়নামাইটস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুরকে ২ রানে হারিয়েছে ঢাকা। তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জয় পেয়ে পয়েন্ট টেবিলে সেরা অবস্থানে রয়েছে সাকিবের দল। অন্যদিকে, চার ম্যাচ খেলে রংপুর দুইটিতে জয় পেয়েছে ও দুইটিতে হেরেছে।

শুক্রবার মিরপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ঢাকা ডায়নামাইটসের দেয়া ১৮৪ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮১ রান করতে সক্ষম হয় রংপুর। দলের পক্ষে রাইলি রুশো ৪৪ বলে ৮৩ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন। এই রান করার পথে তিনি ৮টি চার মারেন ও চারটি ছক্কা হাঁকান। এছাড়া ৩৫ বলে ৪৯ রান করেন মোহাম্মদ মিথুন। অন্যদের মধ্যে কেউ উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি।

ঢাকা ডায়নামাইটসের ২২ বছর বয়সী বাংলাদেশি স্পিনার অ্যালিস আল ইসলাম টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে হ্যাটট্রিক করেন। বিপিএলের ইতিহাসে এটি তৃতীয় হ্যাটট্রিক। চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন অ্যালিস। এছাড়া আন্দ্রে রাসেল ১টি, সাকিব আল হাসান ১টি, শুভাগত হোম ১টি ও সুনিল নারিন ২টি করে উইকেট শিকার করেন।     

রংপুর রাইডার্স ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওপেনার ক্রিস গেইলকে হারায়। শুভাগত হোমের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি উড়িয়ে মেরেছিলেন গেইল। বলটি ছক্কা হতে পারতো। কিন্তু স্ট্রেইট বাউন্ডারিতে শূন্যে ভেসে বলটি সীমানার মধ্যে থ্রো করেন আন্দ্রে রাসেল। সাথে সাথেই ক্যাচটি নিয়ে নেন কাইরন পোলার্ড। হতাশ হয়ে ফিরতে হয় গেইলকে। ৯ বলে ৮ রান করেন তিনি। আউট হওয়ার আগের বলে গেইলকে এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে গেইল বেঁচে গিয়েছিলেন।

গেইল ফেরার পরের ওভারে অপর ওপেনার মেহেদী মারুফও ফিরে যান। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর ১২১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন রাইলি রুশো ও মোহাম্মদ মিথুন। ইনিংসের ১৬তম ওভারে অ্যালিস ইসলামের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরে যান রুশো। এরপরই রংপুরের ব্যাটিং লাইন আপে ভাঙন শুরু হয়। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা।

১৭তম ওভারে নারিনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে রবি বোপারাকে ফেরান সাকিব। ১৮তম ওভারে হ্যাটট্রিক করেন অ্যালিস ইসলাম। ওভারের চতুর্থ বলে মোহাম্মদ মিথুনকে, পঞ্চম বলে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ও ষষ্ঠ বলে ফরহাদ রেজাকে ফেরান তিনি। ১৯তম ওভারে সোহাগ গাজী ও বেনি হাওয়েলকে আউট করেন নারিন।

ইনিংসের শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। তাদের হাতে ছিল এক উইকেট। ক্রিজে ছিলেন শফিউল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম অপু। বোলিংয়ে ছিলেন অ্যালিস ইসলাম। ওভারের প্রথম দুই বলে চার মারেন শফিউল। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেন তিনি। চতুর্থ বলে কোনো রান নিতে পারেননি অপু। পঞ্চম বল থেকে এক রান নেন তিনি। শেষ বলে এক রান নেন শফিউল।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডায়নামাইটস। দলের পক্ষে কাইরন পোলার্ড বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ২১ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করার পর ২৬ বলে ৬২ রান করে আউট হন তিনি। এই রান করার পথে তিনি পাঁচটি চার মারেন ও চারটি ছক্কা হাঁকান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে ২৩ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। রংপুর রাইডার্সের বোলারদের মধ্যে শফিউল ইসলাম ৩টি, বেনি হাওয়েল ২টি, সোহাগ গাজী ২টি, মাশরাফি বিন মর্তুজা ১টি ও ফরহাদ রেজা ১টি করে উইকেট শিকার করেন। অভিষেক ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করায় ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান অ্যালিস আল ইসলাম।

(ঢাকাটাইমস/১১ জানুয়ারি/এসইউএল)