সুবর্ণচর ধর্ষণে আরও এক জনের স্বীকারোক্তি

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৬

নোয়াখালী প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের রাতে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় আদালতে আরও এক আসামি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ নিয়ে সাত জন দায় স্বীকার করলেন।

শনিবার বিকালে অন্যতম আসামি হেঞ্জু মাঝির জবানবন্দি রেকর্ড করেন জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শোয়েব উদ্দিন খান।
ভোটের শেষে আলোড়ন তোলা এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১ জন। অভিযোগ ছিল, ধানের শীষে ভোট দেওয়া নিয়ে বিতর্কের জেরে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

জবানবন্দি দেওয়া হেঞ্জু মাঝি এই ঘটনায় সব শেষ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি। শুক্রবার ভোরে জেলা কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হেঞ্জু মাঝি তাদের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি আদালতে জবাদনবন্দি দিতেও রাজি হন। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরে বাড়িতে হানা দিয়ে চল্লিশোর্ধ চার সন্তানের জননীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী নয় জনকে আসামি করে মামলা করেন। তবে সেখানে রুহুল আমিনের নাম ছিল না। পরে গণমাধ্যমে নাম আসার পর রুহুলকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কার করেছে।