সমাজ সচেতনতায় নির্মাতা জুয়েলের চার নাটক

দীপান্বিতা রায়
 | প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৮

নির্মাতা সোলায়মান জুয়েল। ছোটপর্দার নাটকে নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়ে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন আগেই। নির্মাণ করেছেন অর্ধ শতাধিক নাটক। এবার একই সঙ্গে করছেন সমাজ সচেতনতামূলক চার নাটক। এগুলো হচ্ছে- পরাবাস্তব, স্মোকার, স্যাকরিফাইজ ও এজ ফ্যাক্টর।

সবই ভিন্ন গল্পের। কিন্তু ঐকতান রয়েছে সামাজিক বার্তার জায়গায়। এ প্রসঙ্গে সোলায়মান জুয়েলের ভাষ্য, ‘এই সময়ের চারটি সামাজিক সমস্যা তুলে ধরতে চাইছি। এর মাধ্যমে সচেতনার বার্তা পাবে সবাই। গল্পগুলো এভাবেই সাজানো হয়েছে। যেমন পরাবাস্তব-এ অ্যাবরশনের কুফল তুলে ধরা হবে। স্যাকরিফাইজে থাকবে মানবিকতার জয় গান। স্মোকার-এর গল্পে ধূমপানের কুফল উপস্থাপন করা হবে। আর এজ ফ্যাক্টর নাটকে থাকবে বয়সজনিত কারণে সম্পর্কে যে টানাপড়েনে পড়ে, সেই চিত্র। এখানে একটু বলে রাখি পরাবাস্তব হবে টেলিছবি।’

জুয়েল বরাবরই শস্তা বিনোদন এড়িয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা আর জীবনবোধ থেকে নাটক তৈরি করেছেন। এ প্রসঙ্গে ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘জীবনে যত প্রেম দেখেছি, সবই স্বার্থপরতায় ভরপুর। এক ধরনের জেদ থেকেই আমি প্রেমনির্ভর নাটক এড়িয়ে যাই।’

দারিদ্র্য উপজীব্য করেও নাটক নির্মাণ করেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে নাটক বানাতে গেলে নিজের মধ্যে যন্ত্রণা হয়। সহ্য করতে পারি না। আমার মনে হয়, দারিদ্র্য একটি অভিশাপ, এতে উৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই, কেবলই যন্ত্রণা। আর এ যন্ত্রণাকে উপজীব্য করে নাটক বানানোটা আমি ঠিক মানতে পারি না।’

ছোটপর্দার নাটকে ব্যতিক্রম তেমন কিছু পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নির্মাতা জুয়েল বলেন, ‘আমার একটি নাটকের নাম পরিণতি। এটার পটভূমি নেয়া হয়েছে বাইবেলের সেকেন্ড এডিশনের কনটেন্ট নম্বর ১০ঃ৩ হতে।’ যারা দেশ-বিদেশের সব ধরনের বই পড়বে, তারা ঠিকই ভিন্ন রকমের নাটক বানাতে পারবেন, এটা মনে করেন জুয়েল। গ্রিক মিথের চরিত্র প্রমিথিউসকে তার এক নাটকে নিয়ে এসেছেন তিনি। তবে তা অবশ্য এই সময়ে, এই শহরের প্রেক্ষাপটে।

সোলায়মান জুয়েল শুধু নাটক নয়, তৈরি করেছেন একাধিক বিজ্ঞাপচিত্র। এগুলোও প্রশংসিত হয়েছে। চ্যানেলের জন্য নন-ফিকশন অনুষ্ঠান নির্মাণেও তার দক্ষতা রয়েছে। এতো গেল ছোটপর্দার কথা। বড়পর্দা নিয়ে কী ভাবছেন জুয়েল- এ প্রসঙ্গে বললেন, ‘শিগগিরই আমি সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছি। এ বছরের শেষের দিকে তা শুরু হবে। এই ধারাবাহিকতায় আগামী বছরজুড়ে আমি দুটি সিনেমার কাজ করব। এর একটির নাম পারাপার, এবং অন্যটির নাম সংক্রমণ। সুইডেনের গোথেনবার্গের ফিল্ম ইনস্টিটিউটে স্ক্রিপ্ট জমা দিয়েছিলাম। ওরা আমার গল্প পছন্দ করেছে। ওরা অর্থায়ন করবে।’

তবে যে মাধ্যমেই কাজ করুন না কেন, ঘুরেফিরে সামাজিক দায়বোধের মধ্যেই থাকতে চান জুয়েল। ‘ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার কোনো প্রত্যাশা নেই। এখনো লক্ষ্য স্থির করতে পারিনি। আমার সামনে যখনি কোনো সামাজিক অসঙ্গতি আসে, আমি তাই নিয়েই নাটক নির্মাণ করি।’ এই ভাষ্য তার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :