সংসদের বাইরেও বিরোধী দল হয়: খালেদা

আদালত প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:০০
ফাইল ছবি

‘বিরোধী দল শুধু সংসদের ভেতরেই হয় না, সংসদের বাইরেও বিরোধী দল হয়। যারা জনগণের কথা বলে, মানুষের অধিকারের কথা বলে তারাই আসল বিরোধী দল।’

রবিবার দুপুরে পুরনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী এজলাসে নাইকো দুর্নীতির মামলার শুনানিকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। ঢাকার ৯ নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এই মামলা বিচারাধীন।

পাঁচ বছর আগে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে সংসদের বাইরে চলে আসে বিএনপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি ভোটে অংশ নিলেও জোটসঙ্গীদের নিয়ে মাত্র আটটি আসনে জয় পেয়েছে তারা। এ অবস্থায় একাদশ সংসদে বিএনপির অনুপস্থিতিতে জাতীয় পার্টি এবারও বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকছে।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া গেল বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি খালেদা জিয়া। নাইকো মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি উপলক্ষে রবিবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটে হুইল চেয়ারে করে খালেদা জিয়াকে আদালত কক্ষে হাজির করা হয়।

এ সময় মামলার অপর আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ নিজের পক্ষে শুনানি করছিলেন। শুনানিতে মওদুদ বলেন, ‘আজ আমরা বিরোধী দলে আছি বলেই বিপদে পড়েছি।’

এ সময় পাশ থেকে আইনজীবী বোরহানউদ্দিন প্রশ্ন করেন- ‘আপনারা কি বিরোধী দলে আছেন?’ তখন এই প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া কথা বলেন।

বলেন, ‘বিরোধী দল শুধু পার্লামেন্টের ভেতরেই হয় না, পার্লামেন্টের বাইরেও বিরোধী দল হয়। যারা রাজপথে থাকে, জনগণের কথা বলে, মানুষের অধিকারের কথা বলে তারাই বিরোধী দল।’

মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে বেলা ১২টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা বক্তব্য তুলে ধরেন মওদুদ আহমদ। মামলার নথির সত্যায়িত কপি পেতে আবেদন করবেন জানিয়ে সময় চান মওদুদ। পরে বিচারক শুনানি মুলতুবি করে ২১ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন রাখেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় মামলায়।

২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :