শীতের অতিথি

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৫৪

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

কুয়াশার চাদরে জড়ানো সকাল। হিম শীতল বাতাসের সঙ্গে ভেসে আসা কিচিরমিচির আওয়াজ যেন ছোট এক জলাশয়ের গল্প বলে। নাম তার ‘ময়নার দ্বীপ’। শীতকালে যে জলাশয়ে উচ্ছ্বাস তোলে অতিথি পাখির দল। হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এসব পাখি আসে শুধু একটু উষ্ণতার জন্য।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিবি খাদিজা হলের পাশ ঘেঁষেই ময়নার দ্বীপ। লাল ইটের রাস্তা পার হলেই দেখা মেলে ময়নার দ্বীপের অতিথি পাখিদের। এ সময় যেন ক্যাম্পাস অন্য এক রূপ ধারণ করে। মুগ্ধতার এক রূপ। প্রতিটা মুহূর্তই যেন নতুন। 

শীতের সকাল অথবা পড়ন্ত বিকেলটুকু উপভোগ করতে শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে পাখি দেখতে আসে। চলে আড্ডা। অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সাহিদা ইসলাম অধরা জানান, ‘শীতকাল বেশ উপভোগ্য এখানে। নানারকম পাখি আসে আমাদের ক্যাম্পাসে, ব্যাপারটা আমাদের আনন্দ দেয়। পাখিগুলো এখানে বেশ নিরাপদে আছে।’

খ-কালীন সব স্থিরচিত্র ধারণ করতে ক্যাম্পাসের ছবির কারিগররাও বাদ যান না। তাদেরও ভিড় জমে এখানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোগ্রাফি ক্লাবের অন্যতম সদস্য আশরাফুল ইসলাম শিমুল বলেন, ‘বর্ষার শেষে শীতের আগমনে ময়নার দ্বীপ মুখরিত হয়ে ওঠে অতিথি পাখির ঝাঁকে। ক্যামেরা নিয়ে ছুটে চলতে চলতে পাখির কলরবে মুখরিত প্রান্তর ধরে হেঁটে যেতে যেতে তুলে রাখি নোবিপ্রবির এ অবারিত মনোরম স্নিগ্ধ সৌন্দর্যকে। কখনো ভোরের কুয়াশা প্লাবিত সৌন্দর্য, কখনো রাতের, কখনো বা পুরো দিনের নোবিপ্রবিকে ফুটিয়ে তুলে রাখতে অনিমেষ ভালোলাগা লেগে থাকে।’

এখানে আসা বেশির ভাগ পাখিই হাঁস জাতীয়। বিচিত্র সব নাম আর রূপ তাদের। এসব পাখি দেখতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নন, নোয়াখালী শহর থেকেও অনেকে আসেন।