কারাগার থেকে গম পাচারের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৫৬

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গম পাচারের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে কারা অধিদপ্তর। এই ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া ফটো সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় বিভাগীয় মামলা হয়েছে পাঁচ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে। বাদী কারা কর্তৃপক্ষ নিজেই।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. ইউনুস জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত শনিবার কারাগার থেকে কিছু গম বাইরে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারের মেস ম্যানেজার শাহানুর ওই গম রিকশাভ্যান দিয়ে বাইরে পাঠান। এ সময় পুলিশ বাঁধা দেয়। আর এ নিয়ে কারারক্ষী ও পুলিশের মধ্যে হয় বাদানুবাদ। আর এই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে লাঞ্ছিত করা হয় এ ফটো সাংবাদিককে।

এই ঘটনায় পাঁচ কারাক্ষীকে চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়। এরা হলেন: উজ্জল মিয়া, আবুল খায়ের, আবু সাঈদ, আবু বক্কর সিদ্দিক খোকন ও কাওসার মিয়া।

জেলার  ইউনুস জামান জানান, রেশনের গম পাচারের যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ গম মূলত কারারক্ষীদের রেশনের গম। তারা সকালে রুটি খেতে চায় না। মেসে ভাত খেয়ে থাকে। তাই মেস ম্যানেজার শাহানুর কারারক্ষীদের জন্য বরাদ্দের গম বাইরে বিক্রি করে দিতেন। পরে সেই টাকা দিয়ে মেসের বাজার করা হতো।

কারাগারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইউনুস জামান এর আগে পাঁচটি কারাগারে দায়িত্ব পালন করেছেন। দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগে ওই পাঁচ জায়গাই তিনি সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। তার নির্দেশেই চোরাই গমের ছবি তুলতে আসা দৈনিক যুগান্তরের ফটোসাংবাদিকের উপর হামলা করা হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলার করেন, ‘বরিশাল কারাগারে সাংবাদিকের সঙ্গে যা ঘটেছে তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এমনকি গম পাচারের বিষয়টিও আমার জানা নেই। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত কমিটিই খতিয়ে দেখতে পারবে।’