অবশেষে জবির সমাবর্তন

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:২৭

জবি প্রতিনিধি

প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পর হতে চলেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাবর্তন। আসছে অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তায় হবে এর আয়োজন। এ পরিকল্পনা জানিয়েছে সমাবর্তন কমিটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জবির উপাচার্যও।

জানা যায়, ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত কোনো সমাবর্তন হয়নি। এরই মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাবর্তন প্রত্যাশী ¯œাতকদের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। যা গত বছরের সেপ্টেম্বরে আন্দোলনে রূপ নেয়। তখন চাপের মুখে প্রশাসনের টনক নড়ে। প্রথম সমাবর্তন করার জন্য এর স্থান, সময় ও পরিকল্পনার জন্য কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমানকে আহ্বায়ক এবং প্রশাসন ও একাডেমিক এন্ড কাউন্সিল শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে সদস্য-সচিব করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করে।

এ কমিটির পরামর্শমতে, রাজধানী ধুপখোলা মাঠে এই সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে। জবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তায় সমাবর্তন আয়োজনের বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সময় দিলে চূড়ান্তভাবে সমাবর্তনের তরিখ ঘোষণা করা হবে।

কমিটির সিদ্ধান্তমতে, ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলবে। রেজিস্ট্রেশন ফি ধার্য করা হয়েছে দুই হাজার ৫০০ টাকা। ২০০৫-০৬ সেশন থেকে ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থীরা সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবে। আর তাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের তথ্যমতে, যেসব শিক্ষার্থীর দাবির কারণে কলেজ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, সেই ২০০২-০৩, ২০০৩-০৪ ও ২০০৪-০৫ সেশনের প্রায় ১৯ হাজার ২শ’ ৭১জন শিক্ষার্থীসহ সমাবর্তনপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫৭ হাজার ৯৩০ জন। তবে ২০০২-০৩, ২০০৩-০৪ ও ২০০৪-০৫ সেশনের শিক্ষার্থীদেরকে ইতোমধ্যেই সনদপত্র দেওয়া হয়েছে। তারা সনদ পেলেও আনুষ্ঠানিকতা থেকে বঞ্চিতই থেকে যাবে তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৪-০৫ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ বোরহান বলেন, ‘এটা কোনো ভাবেই মানা যায় না। আমাদের যদি বিশ্বিবিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট দিতে পারে তাহলে কেন সমাবর্তন দিতে পারবে না?’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, সমাবর্তনে অংশগ্রহণের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা চূড়ান্ত নয়। যেসব শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট পেয়েছে তারা সবাই সমাবর্তনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে।