চীন সাগরে নিহত দুই নাবিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পূর্ব চীন সাগরে দুই জাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত দুই বাংলাদেশি নাবিকের পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। নাবিকদের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রটেকশন ও ইনডেমনিটি ক্লাব দুই নাবিকের পরিবারকে এই ক্ষতিপূরণ দেয়।

মঙ্গলবার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নিহত নাবিকদের মধ্যে হারুন অর রশিদের পরিবার ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৩ টাকা এবং সজীব আলী মৃধার পরিবার ৮৭ লাখ ৩৯ হাজার ২০৫ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার শিপিং সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে। চাকরিরত নাবিকদের কল্যাণে সব ধরণের সহযোগিতা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
‘বিশ্বের বিভিন্ন জাহাজে কর্মরত বাংলাদেশি নাবিকদের যে কোনো ধরণের দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও নাবিকদের সমস্যাগুলো সমাধানে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর সবসময় আন্তরিক।’
নিহত নাবিকদের পরিবারের মানবিক বিষয়গুলো সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় থাকবে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গত বছরের ৬ জানুয়ারি উত্তর পূর্ব চীন সাগরে চীনের মালবাহী জাহাজ এম ভি ক্রিস্টালের সঙ্গে সংঘর্ষে ন্যাশনাল ইরানিয়ান ট্যাংকার কোম্পানীর মালিকানাধীন জাহাজ এম টি সানচিতে (গ.ঞ. ঝধহপযর)  আগুন লেগে যায়। পরে জাহাজটি ঘটনাস্থলেই ডুবে যায়।

জাহাজের ৩০ জন ইরানি এবং দুইজন বাংলাদেশী নাবিক সজীব আলী মৃধা এবং হারুন অর রশিদের মৃত্যু হয় ওই ঘটনায়। বাংলাদেশী ম্যানিং এজেন্ট মেসার্স এস কে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তারা জাহাজটিতে যোগদান করেছিল।

মেরিটাইম লেবার কনভেনশন ২০০৬ মোতাবেক কোনো নাবিক চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য হন। সে অনুযায়ী বাংলাদেশী নাবিকদের পরিবারের ক্ষতিপূরনের জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ম্যানিং এজেন্ট ও উক্ত কোম্পানী কর্তৃক নিয়োজিত প্রটেকশন ও ইনডেমনিটি ক্লাব এর পক্ষ হতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের প্রচেষ্টা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রটেকশন ও ইনডেমনিটি ক্লাব দুই নাবিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিল।