১৩ দিন পর সহকর্মীকে হত্যার দায় স্বীকার

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:৫৪

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীতে মাছ ধরা নিয়ে বোরহান উদ্দিন নামে এক সহকর্মী জেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ নৌকাসহ পানিতে ডুবিয়ে দেন তিন জেলে। ঘটনার ১৩ দিন পর নিহতের শ্যালকের কাছে প্রাথমিকভাবে হত্যার ঘটনা স্বীকার করলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে দেয়।

আটকরা হলেন, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নারগানা গ্রামের পরিমল চন্দ্র বর্মন, কমল চন্দ্র বর্মন ও পাপন চন্দ্র বর্মন। পরে আটকদের দেয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ডুবুরির সহায়তায় লাশ উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

নিহত বোরহান উদ্দিন কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ নারগানা গ্রামের আলী আজগরের ছেলে।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ২ জানুয়ারি রাতে বোরহান উদ্দিন শীতলক্ষ্যা নদীতে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ১৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার সকালে বোরহানের শ্যালক মামুন মিয়া কৌশলে জেলে কমল চন্দ্র বর্মনের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে কমল চন্দ্র মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বোরহান উদ্দিনকে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে এলাকাবাসী কমল চন্দ্র, পরিমল চন্দ্র ও পাপন চন্দ্রকে আটক করে পুলিশে দেয়।

পলাশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাছ ধরা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত পরিমল চন্দ্র বর্মন, কমল চন্দ্র ও পাপন চন্দ্রের সাথে বোরহান উদ্দিনের ঝগড়া চলছিল। এরই জের ধরে গত ২ জানুয়ারি রাতে বোরহান নদীতে মাছ ধরতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে জাল দিয়ে বেঁধে নৌকাসহ লাশটি পাথর চাপা দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবিয়ে দেয়। লাশটির সন্ধানে নদীতে ডুবরী নামিয়ে খোঁজা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এলএ)