হুইল চেয়ারে গিয়ে ভোট দিলেন টিউলিপ

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৫৭ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০৩

কমরেড খন্দকার
ঢাকাটাইমস

হুইল চেয়ারে করে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে গিয়ে ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর ভোট দিলেন  লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।

নিজের  অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা না করে, ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবেই ভোট দিতে হাজির হন তিনি।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ৪৩২ আইনপ্রণেতা। আর পক্ষে ভোট পড়ে ২০২টি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন।

ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনের এমপি টিউলিপ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়ার তারিখ দুই দিন পিছিয়েছেন।

৩৬ বছর বয়সী টিউলিপ বলেন, ‘একদিন পর আমার ছেলে পৃথিবীতে  এলেও যদি এ বিশ্বে ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার ভালো সুযোগ আসে, তবে তাই হোক।’

টিউলিপের দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। কন্যার জন্ম দেয়ার সময় তার গর্ভকালীন জটিলতা দেখা দিয়েছিল।

দ্বিতীয় সন্তান জন্মদানের জন্য আগামী ৪ ফেব্রুয়ারিতে তার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা  রয়েছে। কিন্তু ডায়াবেটিসসহ এবারও কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় হ্যাম্পস্টেডের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের তারিখ এগিয়ে সোমবার বা মঙ্গলবার করার পরামর্শ দিয়েছেন।

পরে টিউলিপ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তারিখ দুই দিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার করার অনুরোধ জানান।

চিকিৎসকরা সন্তান জন্মদানে তাকে এটি করতে নিষেধ করেছিলেন জানিয়ে টিউলিপ বলেন, ‘রয়্যাল ফ্রি হাসপাতাল তাদের নিয়মকানুন এবং স্বাস্থ্যসেবার মানের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। আমার গর্ভাবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং আমি চিকিৎসকদের পরামর্শের বিপরীতে গিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, আমি আমার বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে যদি কোনো জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে অবশ্যই আমি সবার আগে আমার সন্তানের সুস্থতার কথা ভাববো’

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাধারণত কোনো এমপির সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় আসন্ন হলে বা সদ্যজাত সন্তানের কারণে বা অসুস্থতার কারণে কোনো ভোটে অংশ নিতে না পারলে বিরোধী পক্ষেরও একজন সদস্য ভোটদান থেকে বিরত থাকেন, যাকে ‘পেয়ার’বলা হয়। কারও অনুপস্থিতি যেন ভোটের ফলে প্রভাব ফেলতে না পারে, তাই এই প্রথা।

ঢাকা টাইমস/১৬জানুয়ারি/প্রতিবেদক/ওআর