‘পুলিশের জন্য অস্ত্র বানান’ যশোরের কামরুল

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৮ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:৩১

যশোর প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

যশোরে এক ব্যক্তি ভ্রাম্যমাণ আদালতে বলেছেন, তিনি পুলিশের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি তার এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে।

বুধবার দুপুরে শহরতলীর চাঁচড়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও সহযোগী আবুল বাসারসহ আটক হন কামরুল নামে একজন। উদ্ধার করা হয় একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, একটি গুলির খোসা ও অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম। কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অস্ত্র তৈরি করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদুল জানান, বেলা দেড়টার দিকে তারা সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের দাড়িপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে যান। ওই গ্রামের কামরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম দেখা যায়।

জামশেদুল বলেন, ‘সেখান থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, একটি খেলনা পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, একটি গুলি, পাঁচটি কাটা গুলি, অস্ত্র তৈরি ডাইস ও ইস্পাত খ- ও শুটারগানের একটি নল উদ্ধার করা হয়।’

ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে কামরুল ইসলাম দাবি করেন, ‘এ আগ্নেয়াস্ত্রগুলো আমি তৈরি করি পুলিশের জন্য। চার-পাঁচ মাস আগে তৈরি করা অস্ত্র ও গুলি আমার কাছ থেকে নেন এসআই জামাল হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা।’

‘আমার তৈরি অস্ত্রগুলো কোনো ক্ষতি করে না। পুলিশ মামলার আলামত হিসেবে আমাকে দিয়ে এসব তৈরি করায়। প্রতিটি অস্ত্র আমি গুলিসহ পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করি।’

এসআই জামাল হোসেন বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে রিজার্ভ অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘কামরুলকে আমি একটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স ও মাদকসেবী হিসেবে জানতাম। আমি তাকে কখনও আমার দপ্তরে ঢুকতে দিইনি। তার দাবি মনগড়া।”

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনসার উদ্দিন বলেন, ‘দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কথা শুনেছি। তবে পুলিশ কেন তার কাছে অস্ত্র বানাতে দেবে? পুলিশের কি অস্ত্রের অভাব পড়েছে। ওই ব্যক্তি হয়ত নিজেকে বাঁচাতেই পুলিশের কথা বলে থাকতে পারে।’

ভ্রাম্যমাণ আদালতে শুনানি শেষে কামরুলসহ আটকদের থানায় দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদুল আলম বলেন, ‘আটককৃতর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হবে। অভিযানে মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি বলে এ বিষয়ে মামলা হবে না।’