প্রতিমন্ত্রীকে দেখে ‘ক্ষেপলেন’ এমপি রমেশ

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২৫ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২৮

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নিজ এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানকে দেখে খুশি হতে পারেননি ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন। তার অভিযোগ, না জানিয়ে এলাকায় গেছেন এনামুর।

রমেশ বলেন, ‘আমার এলাকায় ঢুকেছেন। আমি যদি ঢুকতে না দিতাম? এখানে আসার আগে আমাকে জানানোর দরকার ছিল।’
জবাবে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জেলা প্রশাসক ও মন্ত্রণালয় আপনাকে জানায়নি?’ এরপর তিন বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে কোলাকুলির প্রস্তুতি নেন। কিন্তু রমেশ চন্দ্র সেন কোন আগ্রহ না দেখালে তিনি  কোলাকুলি হতে নিবৃত হন।
বুধবার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক  মতবিনিময় সভায় এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। এ নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন।

জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রমেশ চন্দ্র সেন ছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান (এখানো শপথ নেননি), ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাসিম, ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের প্রশাসক সাদেক কুরাইশি।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতা, মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত শীতবস্ত্র ও নগদ টাকা এবং শীত বস্ত্র বিতরণে জেলা প্রশাসনের কর্মকা-, পেপার কাটিং ইত্যাদি তথ্য উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীলাব্রত কর্মকার।  

সভায় ভিজিডি, ভিজিএফ, জিআর চাল, কাবিখা, কাবিটা ইত্যাদি প্রকল্পের তথ্য মাল্টিমিডিয়ায় প্রকাশ না করায় ত্রাণ সচিব অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নুর কুতুবুল আলমকেও তার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন না করায় ভর্ৎসনা করেন। বলেন, ‘তুমি এডিসি জেনারেল হিসেবে কখনো গোডাউনে গেছ?’

জেলা ত্রাণ বিভাগের গুদামে কতটি ঢেউটিন জমা আছে এবং সর্বশেষ কবে নাগাদ পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ডিসি সাহেব পরিদর্শন করেছেন কিনা তাও জানতে চান সচিব।

জবাবে জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘আমি আসার পর একবার মাত্র গেছি। এ কথায় সচিব সন্তুষ্ট না হতে পারেননি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২ ডিসেম্বর  বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৩১ ডিসেম¦রের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কেন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি, সে কথাও জানতে চান সচিব।

প্রকল্পের নীতিমালা পড়েছেন কি না, পড়লে নীতিমালা বইয়ের মোড়ক কী রঙের ইত্যাদি প্রশ্নও এডিসি নুর কুতুবুল আলমের কাছে জানতে চান ত্রাণ সচিব।

জবাবে নুর কুতুবুল আলম একবার বইয়ের মোড়ক ‘মাল্টি কালার’ এবং পরক্ষণে সবুজ রঙের বলে উল্লেখ করেন। জবাব সঠিক না হওয়ায় অসন্তোষ জানান সচিব।