টুকু-মামুনে ‘আটকে’ যুবদল কমিটি

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৩৭

বোরহান উদ্দিন

বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের তৎপরতা নিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যেই আছে ক্ষোভ। ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলেও তাদের পক্ষে সেভাবে মাঠে সক্রিয় ছিলেন না নেতাকর্মীরা।

২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি তিন বছরের জন্য ‘সুপার ফাইভ’ কমিটি দেওয়া হয় যুবদলের। দুই বছরেও আংশিক থেকে পূর্ণাঙ্গ হয়নি কমিটি। অনেক দিন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান কারাগারে থাকায় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করছেন সংগঠনটির নেতারা। এই দুই শীর্ষ নেতা মুক্তি পেলে আলোর মুখ দেখতে পারে পূর্ণাঙ্গ কমিটি। সেই আশায় প্রহর গুনছেন পদপ্রত্যাশীরা।

‘সুপার ফাইভ’ কমিটিতে অন্য দুজন হলেন সিনিয়র সহসভাপতি মুরতাজুল করিম বাদরু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।

একই দিনে ঢাকা মহানগর উত্তর (পাঁচ সদস্য) ও দক্ষিণের (সাত সদস্য) কমিটিও ঘোষণা করা হয়। তখন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সবগুলো কমিটিকে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ করার। কিন্তু কেন্দ্রের দেখাদেখি মহানগরের কমিটি এখনো আংশিক অবস্থায় রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদপ্রত্যাশী যুবদলের একজন নেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘নানা বাস্তবতার কথা বলা হলেও এক মাসের মধ্যে যেখানে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া ছিল সেখানে দুই বছর হতে যাচ্ছে। এটা নিয়ে ভাবতে হবে হাইকমান্ডকে। না হলে শুরুর দিকে যে গতি ছিল তা ধরে রাখা সম্ভব হবে না।’

তবে নেতারা ৩০১ সদস্যের খসড়া কমিটির একটি কাঠামো তৈরি করেছেন ইতিমধ্যে। যদিও গঠনতন্ত্রে ২১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির কথা বলা আছে।

গত কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন মামুন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি কমিটির একটা ফরম্যাট করা আছে। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক কারাগারে থাকায় কমিটি ঘোষণা করা যাচ্ছে না। তারা মুক্তি পেলে আশা করি, পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হবে।’

কমিটি হওয়া উচিত উল্লেখ করে মামুন বলেন, ‘কারণ এতে সংগঠনের গতি আসবে। নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হবে।’

যুবদলের গত কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল ওয়াহাব ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘কমিটি হওয়া খুবই জরুরি। আমরা সবাই তাকিয়ে আছি কবে কমিটি হবে। যদিও নানা প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে। তারপরও আর বিলম্বের সুযোগ নেই।’

নতুন কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি আছে। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত তারা মুক্তি পাবেন। এরপরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া যাবে।’

সরকারবিরোধী আন্দোলনে যারা সামনের সারিতে ছিলেন, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান নীবর।