শেখ হাসিনার কথন, চলন নজিরবিহীন: রিজভী

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব কিছুই নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট নিয়ে দেশে যা ঘটেছে তার সবই নজিরবিহীন।

বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের ওপর টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলেন তিনি। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা যে ৫০টি আসনে ভোট পর্যবেক্ষণ করেছে, তার মধ্যে ৪৭টিতেই কোনো না কোনো অনিয়ম হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টিতে আগের রাতেই ভোট দেওয়া হয়েছে।

রিজভী এই প্রতিবেদনকে সঠিক উল্লেখ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার কথন, বলন সবই নজিরবিহীন। শেখ হাসিনার পুলিশ-র‌্যাবের ভোট ডাকাতির দক্ষতা নজিরবিহীন। তাঁর সরকারের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের অম্লানবদনে ডাহা মিথ্যা কথা বলা নজিরবিহীন।’

‘বিরোধীদের প্রতি শেখ হাসিনার রণংদেহী ভাব নজিরবিহীন। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনে আদালত, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের তথাকথিত নিরপেক্ষতার গুঞ্জন নজিরবিহীন। কথায় কথায় বিরোধী দলের প্রতি ধমক ও হুমকি নজিরবিহীন। ভোটারদের ভোট-বঞ্চনা করতে দীর্ঘ সময়ব্যাপী পরিকল্পনা নজিরবিহীন। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য ‘ড্রাকোনিয়ান’ আইন তৈরি করা হয়েছে যা নজিরবিহীন।’

টিআইবির প্রতিবেদন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আঁতে ঘা লেগেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘সরকারের সর্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণের ঘন অন্ধকার ভেদ করে টিআইবি রিপোর্টে ভোট ডাকাতির মহাসত্য প্রকাশ হওয়াতে সরকারের মন্ত্রীরা ও নির্বাচন কমিশন মুখ লুকাতে পারছে না। সেজন্য আর্তচিৎকার করে সত্য লুকানোর চেষ্টা করলেও কোন লাভ নেই। মানুষ যা জানার নির্বাচনের আগের দিন রাত থেকেই জেনেছে।’

বিশ্বের নানা গণতান্ত্রিক দেশ এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বলেছে দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা এই ভুয়া ভোটের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং তদন্ত দাবি করেছে।’

গণমাধ্যমকে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘বিরোধীদলকে কারাগারে ঢুকিয়ে, ভোটারদেরকে আতঙ্কের মধ্যে রেখে, নির্বাচন কমিশনে মোসাহেবদের বসিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে পার পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ জীবন উৎসর্গ করে এই দেশ স্বাধীন করেছে, তারা  প্রয়োজন হলে জীবন দিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।’

জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে দুই দিনের কর্মসূচি

শনিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৩ তম জন্মবার্ষিকী পালনে দুই দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন রিজভী। শুক্রবার বেলা আড়াইটায় সুপ্রিমকোট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা, ১৯ জানুয়ারি সকালে ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ১০টায় জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবে দল।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন এ্যানী প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/এসআর/ডব্লিউবি