সুবর্ণচর ধর্ষণ

ভীতি নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ধর্ষিতা

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৫

নোয়াখালী প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

১৭ দিন চিকিৎসা শেষে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ভোটের রাতে ধর্ষণের শিকার নারী চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও নানা ধরনের শঙ্কায় পুরো পরিবার। তাদেরকে নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ বলছে, তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

বৃহস্পতিবার দুপরে হাসপাতাল থেকে ওই নারীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় বলে ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম।

এই ঘটনায় করা মামলায় ৯ আসামি এবং নির্দেশদাতা হিসেবে সন্দেহভাজন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা রুহুল আমিনও গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে তাতেও স্বস্তি নেই পরিবারটিতে। তাদের অভিযোগ, এখনও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

তবে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহেদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কোনো কারণ নেই। পুলিশ সব সময় ওই পরিবারের পাশে থাকবে। যে কোনো সমস্যায় সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হবে।’

ওই নারীর স্বজনরা জানান, তারা এখন চিন্তিত মানসিক ধাক্কার বিষয়টি নিয়ে। যে দুঃসহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে, সেটা কাটিয়ে উঠাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

গত ৩১ ডিসেম্বর ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার চিকিৎসা হয়েছে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে। বর্তমানে তিনি স্বাভাবিক চলাফেরা ও খাওয়াদাওয়া করতে পারছেন। তবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অর্থোপেডিক বিভাগে আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

আরএমও সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই নারীর চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। বর্তমানে তিনি অনেকটাই সুস্থ। তারপরও বাড়ি যাওয়ার পর যদি কোনো প্রকার সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য জানানো হয়েছে।’

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন একটি কেন্দ্রে বাক বিত-ার হয়। পরে রাতে বাড়িতে হামলা করে চার সন্তানের জননী নারীকে দল বেঁধে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই ঘটনাটি প্রকাশ হলে তোলপাড় হয় সারাদেশে। ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মানবাধিকার কমিশনও গিয়ে তদন্ত চালায়। যদিও তারা জানিয়েছে, ভোট সংক্রান্ত বিরোধে নয়, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী নয় জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরা গ্রেপ্তার হয়েছেন যাদের মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।