সোহেলের হত্যাকারীদের শাস্তি চান ছাত্রলীগের সাবেকরা

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মাদকের কারবারে বাধা দেওয়ায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনটির শতাধিক নেতা। পরে তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধান বরাবার স্মারকলিপি দেন।

মানববন্ধনে ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমদি বাবলু বলেন, ছাত্রলীগ বিভিন্ন সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ দেশ আজকের এই অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। এর অবদানে রয়েছে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা কর্মীর রক্ত, শ্রম, ঘাম ও রাজপথের সাহসী প্রতিবাদ। এর মধ্যে আর ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল-এর মতো নেতৃত্বের অবদানও রয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি আমাদের রাজনৈতিক সহকর্মী মহিউদ্দিন সোহেলকে চট্টগ্রামের পাহারতলীতে তার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক অফিসের সামনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, মহিউদ্দিন সোহেল হত্যাকারী সাবের সওদাগর ও তার সহযোগিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দিতে হবে।

মানববন্ধন শেষে মহিউদ্দিন সোহেলের হত্যায় অভিযুক্ত সাবের সওদাগর ও তার সহযোগিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শাহিনুর রহমান, সুজাদুর রহমান, সোহেল রানা মিঠু ও হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি স্মারকলিপি দেন।

স্মারক লিপিতে বলা হয়, ২০০১ সালের জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলনে চট্টগ্রামের এক সাহসী ছাত্রনেতার নাম ছিল মহিউদ্দিন সোহেল। ৭ জানুয়ারি আমাদের রাজনৈতিক সহকর্মী মহিউদ্দিন সোহেলকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে তার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক অফিসের সামনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

মহিউদ্দিন সোহেল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির প্রাক্তন সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রাক্তন উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সরকারি কমার্স কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রাম জেলা নেতা ছিলেন। তার বাবা ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা। পাহাড়তলী সরকারি রেলওয়ে কলোনিতে তার জন্ম। পাহাড়তলী সরকারি কলোনি বাজারের কাছে তার লিজ করা জমিতে নির্মাণ করা অফিসে তিনি তার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

মূলত পাহাড়তলী বাজার ও আশপাশের এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতাধীন করার উদ্যোগ, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা করার ঘোষণা এবং এর কার্যক্রম শুরু, রাতের বেলায় পাম্প হাউস কলোনির রাস্তাসমূহ আলোকিত করাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিশেষ করে বস্তিবাসীর জন্য ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ফ্রি হেলথ ক্যাম্প, গ্রন্থাগার ও মিলনাতয়ন করার উদ্যোগ নেন। আর এসব তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।”

একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তার জন্য কি আমরা এতটুকু প্রত্যাশা করতে পারি না? একই সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করার পর সোহেলকে চাঁদাবাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপপ্রয়াসের নিন্দা জানান নেতারা।

ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলুর সভাপতিত্বে ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান টুটুল, সাবেক সহ সভাপতি সুজাদুর রহমান, রফিকুল আলম গাফফারী রাসেল, আমিনুল এহসান বাবু, মেহেরুল হাসান সোহেল, সৈয়দ আলাওল ইসলাম সৈকত, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জাফরুল শাহরিয়ার পলাশ, সোহান খান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, রিপন পোদ্দার, আ হ ম তারেক উদ্দিন, সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু, স্বাস্থ্য সম্পাদক হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/টিএ/ইএস