দোরগোড়ায় বইমেলা, সমানে চলছে প্রস্তুতি

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:১৯

দিদার মালেকী

দোরগোড়ায় চলে এল অমর একুশে বইমেলা। দিন বারো পরই শুরু হবে মাসব্যাপী শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির এই মহাসম্মিলন। নতুন নতুন বইয়ের সঙ্গে দর্শনার্থী-ক্রেতা-কবি-লেখকদের ভরপুর আড্ডায় জমে উঠবে এই মহা আয়োজন। বইমেলা সামনে রেখে প্রস্তুতিও চলছে সমানে। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনই পর্দা উঠবে সারা বছরের প্রত্যাশিত এই প্রাণের মেলার।

বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রেসপাড়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকাশকেরা। কবি-লেখক-প্রচ্ছদশিল্পীদেরও সময় কাটছে ব্যস্ত। লেখক ও প্রচ্ছদশিল্পীদের কেউ পরিবর্তন, পরিমার্জন কেউবা এখনো নিমগ্ন নতুন সৃষ্টিকে সবার সামনে তুলে ধরতে। প্রতিবছরের মতো প্রত্যাশা, এবারের বইমেলাও মুখর থাকবে দর্শক-ক্রেতা-পাঠকের পদচারণায়।

এদিকে বইমেলা আয়োজনে প্রস্তুতি চলছে বাংলা একাডেমিতেও। এরই মধ্যে বৈঠক হয়েছে দফায় দফায়। চলছে সফলভাবে বইমেলা আয়োজনে নানা কর্মযজ্ঞ। বেশ কয়েক বছর পর নতুন মহাপরিচালক পেয়েছে বাংলা একাডেমি। ফলে এবারের মেলাতেই আসতে পারে বৈচিত্র্য।

তবে এবার মেলায় প্রবেশে বাগড়া দিতে পারে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বরের দিকে মেট্রো রেলের জন্য এরই মধ্যে সড়কের মাঝখানে কাজ চলছে। বেড়া দিয়ে কাজ করার ফলে সরু হয়ে এসেছে রাস্তা। তা ছাড়া খোঁড়াখুঁড়ির কারণে ধূলি-ধূসরিত গোটা এলাকা। তাই এবার মেলায় প্রবেশপথেও আসতে পারে পরিবর্তন।

তরুণ কবি চানক্য বাড়ৈ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বইমেলার জন্য সারা বছরই অপেক্ষা থাকে। আমাদের কাছে এই মেলার আলাদা একটা মেজাজ আছে। একুশে গ্রন্থমেলা এখন বাঙালির ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এবারের মেলা সব মিলিয়ে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর হবে বলে প্রত্যাশা করি।’

ছাপা, পৃষ্ঠাসজ্জা, বাঁধাইসহ নানা ধাপ পেরিয়ে কবি-লেখকদের পা-ুলিপি ছাপাখানায় গিয়ে হয়ে উঠছে বই। যাদের তত্ত্বাবধানে নতুন বই হয়, সেই প্রকাশকদের ব্যস্ততা এখন বহুগুণ বেড়েছে। রাজধানীর বাংলাবাজারের পাশাপাশি নীলক্ষেত, কাঁটাবন এলাকায় প্রকাশনা সংস্থাগুলোতেও জোর প্রস্তুতি মেলা নিয়ে। সারা দিনের পাশাপাশি রাতেও কাজ করতে হচ্ছে প্রকাশনা, প্রেস ও বাঁধাইকর্মীদের।

এবার তিন শতাধিক নতুন বই নিয়ে মেলায় অংশ নেবেন স্বনামধন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বেহুলা বাংলা। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ও শূন্য দশকের অগ্রগণ্য কবি চন্দন চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিতব্য বইহগুলোর ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। মূলত মেলা ফেব্রুয়ারিজুড়ে এক মাস হলেও আমাদের প্রস্তুতি চলে সারা বছরই। এবারের মেলার শুরুতেই বেহুলা বাংলা থেকে ৭০ ভাগ বই স্টলে নিয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি।’