মমতাকে জাতীয় নেতা মানছেন বিজেপির সাংসদ শত্রুঘ্ন

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৭ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে দেশটির রাজনৈতিক মহলে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামটি বেশ উচ্চারিত হচ্ছে। ভারতের ক্ষমতাসীন জোট বিজেপির কড়া সমালোচক মমতাকে ভারতের ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছেন অনেকে। এ তালিকায় যোগ হলেন খোদ বিজেপির সাংসদ ও বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা।

মমতাকে তিনি জাতীয় নেতা বলে উল্লেখ করেন। বলেন, ‘মমতা এখন আর আঞ্চলিক নেতা নন। তিনি একজন জাতীয় মাপের নেতা।’ এমনই মন্তব্যের জেরে গরম রাজনৈতিক অঙ্গন। এখানেই থামেননি তিনি। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, শনিবার ব্রিগেডে আয়োজিত মমতার তৃণমূলের মহাসমাবেশে তিনি অংশ নেবেন। খবর আনন্দবাজারের।

এর আগেও দলের কাজকর্মের বিরুদ্ধে বার বার সরব হতে দেখা গিয়েছে শত্রুঘ্ন সিনহাকে। দলের ভূমিকা নিয়েও একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন। এ জন্য দল সতর্কও করেছিল তাকে। কিন্তু সেই সতর্কবার্তায় যে কোনও লাভ হয়নি। ব্রিগেডের সমাবেশে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে তা ফের প্রমাণ করলেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্‌হা।

তাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, তা হলে কী মমতাই প্রধানমন্ত্রী হবেন লোকসভা নির্বাচনের পর? সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “প্রাপ্ত আসনসংখ্যার ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রী কে হবেন ঠিক করবেন দেশের মানুষ এবং দলগুলো। তবে নিঃসন্দেহে তিনি (মমতা) সেরা ব্যক্তিত্বদের একজন’। জাতীয় রাজনীতিতে মমতার অবস্থান সম্পর্কে শত্রুঘ্ন বলেন, “মমতা এখন আর আঞ্চলিক নেতা নন। তিনি এক জন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পর্যায়ের নেতা।” 

শনিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের জনসমাবেশ। সেখানে হাজির থাকছেন বিরোধী দলের সমস্ত নেতারা। ওই সভায় প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিন্‌হার প্রতিনিধি হিসেবেই হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন শত্রুঘ্ন। এই সভা থেকেই বিজেপির ‘কফিনে’ শেষ পেরেক পোঁতার কাজটা সেরে ফেলতে চাইছেন মমতা-সহ বিরোধী দলগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলের বিরুদ্ধে ফের আওয়াজ তুলতে ব্রিগেডের মঞ্চকেই বেছে নিতে চাইছেন শত্রুঘ্নও।

দলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেও দলের প্রতি তার যে অগাধ আনুগত্য রয়েছে পাশাপাশি সেটাও দাবি করেছেন পটনা সাহিবের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “দলের প্রতি আমার আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা যুক্তিযুক্ত নয়। বিজেপি যখন দুই সাংসদের দল ছিল তখন এই দলে যোগ দিয়েছিলাম। দলকে আরও মজবুত করতে সব সময়ই কাজ করে গিয়েছি।”

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন শত্রুঘ্ন। ২০১৪-তে পটনা সাহিব থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়ে সাংসদ হন। অনেকেই অবশ্য বলে থাকেন, মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছিল তার। তার পর থেকে বহু বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে শত্রুঘ্নকে। দলের নেতা-মন্ত্রীদের ভূমিকা নিয়েও একাধিক বার প্রশ্ন তুলেছেন।

ঢাকাটাইমস/১৮জানুয়ারি/ইএস