পড়াশোনার পাশাপাশি অন্য কাজগুলো সমানভাবে গুরুত্ব দিই

বিনোদন ডেস্ক
| আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৩৪ | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:০৭

আরজে রহি। প্লেপেন স্কুলে ক্লাস সিক্সের ছাত্র। ইতিমধ্যে রেডিও ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন অসাধারণ বাচনভঙ্গিতে। কাজ করছেন একটি অনলাইন টেলিভিশনেও। মাত্র ৮ বছর বয়সে শোবিজে পা রাখা এই আরজে জানালেন তার স্বপ্নের কথা, কর্মপরিকল্পনার কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নুসরাত জাহান মিম

রেডিওর শুরুটা কীভাবে?

আমার বয়স যখন ৮ বছর (ডিসেম্বর ২০১৫), তখন আমি রেডিও ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখি পিপলস রেডিও ৯১.৬-এর ‘কিচির মিচির’ শোর মাধ্যমে। সেখানে প্রথমে আমাকে শোর গেস্ট হিসেবে আমন্ত্রণ করেছিল এবং সেই দিনের অনুষ্ঠানটি খুব মজার হয়েছিল। এরপর শোর সঞ্চালক আমায় প্রশ্ন করেছিলেন আমি রেডিও জকি হতে চাই কি না। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি, রেডিও জকি আসলে জিনিসটা কী? কিন্তু ওই মাইক্রোফোনের আলাপচারিতা আমার বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায় এবং তখন ওই শোর দীর্ঘ দুই ঘণ্টায় মাইক্রোফোনের সাথে আমার একটা ভালোলাগা ও ভালোবাসার বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে গেল। আমি তখন বলেই ফেললাম, আমার খুব ভালো লাগছে, আমি রেডিও জকি হতে চাই।

বাংলাদেশ বেতারে আপনার শো ‘আমি মিনা বলছি’ নিয়ে কিছু বলো। কেমন রেসপন্স পাচ্ছো শোটা থেকে?

-আমি মিনা বলছি একটি বড় শিশু-কিশোরভিত্তিক ফোন-ইন অনুষ্ঠান, সারা বাংলাদেশে একসাথে একই সময়ে সম্প্রচারিত হয় প্রতি শুক্রবার সকাল ১০:১৫ মিনিট থেকে ১১:২০ মিনিট পর্যন্ত। রেসপন্স অনেক অনেক ভালো। ডাকযোগে প্রচুর চিঠি আসে, ফেসবুকে প্রচুর কমেন্ট আসে, আমি অনুষ্ঠানটিতে রাজুর ভূমিকা পালন করি। আমার খুব ভালো লাগে মিনা ও মিঠুর সঙ্গে একসাথে কাজ করতে এবং এই অনুষ্ঠান অনেক জনপ্রিয় সবার কাছে।

একই সাথে তুমি রেডিও ক্যাপিটাল এফএম এবং নতুন সময় টিভিতে শিশুদের নিয়ে শো করছ , তা নিয়ে কিছু বলো -রেডিও ক্যাপিটাল এফএম ৯৪.৮-এ ইউ কিডস নামে একটি শো হয় প্রতি শুক্রবার, আমার সাথে আরও দুজন কিডস থাকে, আমরা সেখানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জীবনী নিয়ে কথা বলি, কম্পিউটার/ আন্ড্রয়েড গেমস নিয়ে কথা বলি, সিনেমা নিয়ে কথা বলি। এই শোও অনেক জনপ্রিয় শিশু-কিশোরদের মাঝে। আর নতুন সময় টিভিতে শিশু-কিশোরভিত্তিক একটি শো করি, যার নাম হলো ‘সপ্নডানা’। আমি এই শোর নিজেই কন্টেন্ট তৈরি করি এবং সেখানে প্রতিটি পর্বে একজন গেস্ট থাকে, যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে। আমরা সেখানে একজন শিশুর দৈনন্দিন জীবনযাপন, তার ভালো লাগা মন্দ লাগা নিয়ে কথা বলি, সুপ্ত প্রতিভা নিয়ে কথা বলি, পরিবার ও সমাজ নিয়ে কথা বলি, আমাদের পড়াশোনা নিয়ে কথা বলি। এই শো খুব অল্প সময়ে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তার কারণ শিশু-কিশোরদের না বলা কথা বেরিয়ে আসে এই শোর প্রতি পর্বে।

টিভি এবং রেডিও এ দুটি সেক্টরে সমানভাবে কাজ করছেন, কোনটা সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়? -রেডিও ও টিভির যে পার্থক্য আমি পেয়েছি সেটি হলো, রেডিওতে শুধু মাইক্রফোনে কথা বলতে হয়, আর টিভিতে ক্যামেরা সেটের সামনে বসে কথা বলতে হয়। আমার কাছে দুটিই এক এবং সমান চ্যালেঞ্জিং মনে হয়।

পড়াশোনার পাশাপাশি এত কাজ করছ, এর জন্য কি তোমার পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হচ্ছে বা এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে? -পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য কাজে আমি সমানভাবে গুরুত্ব দেই। এতে বরং পড়াশোনা আমার অনেক ভালো হয়। আমি প্লেপেন স্কুলে ক্লাস সিক্সে পড়ি। স্কুলেও আমার ভালো মার্ক্স এসেছে পরীক্ষায় এবং আমি মনে করি আনন্দঘন পরিবেশে একটি শিশুর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও সহজে মেধার বিকাশ ঘটিয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া যায়।

বাবা-মায়ের কাছ থেকে কতটুকু সাপোর্ট পাচ্ছ? -বাবা-মায়ের কাছ থেকে আমি ১০০ ভাগ সাপোর্ট পাচ্ছি, তারা আমাকে সাপোর্ট না করলে আমার এত কিছু করা সম্ভব ছিল না। একটি শিশুর জন্য উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং সেই সাথে বাবা-মায়ের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রভাব বিশেষ প্রয়োজন। আমার বাবা-মা আমাকে প্রচুর সময় দেয়, আমরা সব সময় একসাথে একটি টিম হয়ে কাজ করি। আমার জীবনের স্রেষ্ঠ বন্ধু হলো আমার বাবা-মা।

তোমার নতুন শো নিয়ে কিছু বলো -আমাদের মতো শিশুদের অনেক না বলা কথা থাকে, আমরা অনেক সময় বলতে চেয়েও বলতে পারি না, আমরা সপ্ন দেখতে ভালোবাসি, আমরা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে চাই, আমাদের কিছু ভালো লাগা মন্দ লাগা থাকতেই পারে, আমাদের কিছু লক্ষ্য থাকে, যা অনেকের কাছে বহিঃপ্রকাশ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আমি শিশু-কিশোরদের নিয়ে এমন একটি শো করতে চাই, যা এখনো বাংলাদেশে হয়নি। এর জন্য প্রয়োজন স্পন্সর। আমাদের সমাজে যারা সামর্থ্যবান আছেন, বিত্তবান আছেন, যারা শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিন্তা করেন, তারা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে ভবিষ্যতে আমি এমন একটি শো টিভি কিংবা রেডিওতে করতে চাই।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? -প্রথমে আমি ভালো মানুষ হতে চাই, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাই। শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করতে চাই, দেশের জন্য ও সমাজের জন্য কাজ করতে চাই। আমাদের অনেক কিছু করার আছে, এর জন্যই আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনে করতেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের সোনার বাংলা গড়ার যোগ্য কারিগর।

ঢাকাটাইমস/১৯ জানুয়ারি/আরআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিনোদন এর সর্বশেষ

তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী: মিনা পাল থেকে যেভাবে তিনি হয়ে উঠেছিলেন কবরী

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটার ছাড়া প্রবেশ নিষেধ, থাকবে মোবাইল কোর্ট

নির্মাতা হিরণের আকস্মিক মৃত্যুতে অপমৃত্যু মামলা

বাইকে বসে গুলি চালানো হয় সালমান খানের বাড়িতে! ভিডিও প্রকাশ

নিউইয়র্কে প্রদর্শিত হবে ইভান মনোয়ারের শর্ট ফিল্ম ‘প্যাসেঞ্জার’

‘লিপস্টিক’ ছবিটি দর্শকের মন জয় করবে: পূজা চেরি

ইস্কাটনে দরজা ভেঙে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল ‘আদম’ সিনেমার পরিচালককে

নির্মাতা রাজকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদলেন চয়নিকা! কেন?

রামচরণকে ডক্টরেট সম্মাননা দিল চেন্নাইয়ের বিশ্ববিদ্যালয়

বারবার খুনের হুমকি, এবার সালমান খানের বাড়ির সামনে চলল গুলি!

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :