মেক্সিকোতে তেলের পাইপলাইন বিস্ফোরণে নিহত ২১

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মেক্সিকোর হিদালগো প্রদেশে তেল চোরদের ফুটো করা একটি পাইপলাইন বিস্ফোরণে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন আরও ৭১ জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

শুক্রবার রাতে তলাহুয়েলিলপান শহরের কাছে তুলা তেল শোধনাগারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, তেল চুরি করতে গিয়ে পাইপ ফুটো করার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পাইপলাইন বিস্ফোরণের আগে ফুটো দিয়ে গড়িয়ে পড়া তেল কনটেইনারে ভর্তিতে ব্যস্তছিল স্থানীয়রা। তারমধ্যেই হঠাৎ করে আগুন লেগে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

প্রাদেশিক গভর্নর ওমর ফায়াদ বলেন, ‘জরুরি বিভাগে ২১টি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ আরও ৭১ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও ওই এলাকা এখন প্রচ- উত্তপ্ত হয়ে আছে। যে কারণে উদ্ধারকর্মীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’ হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে রাতের আকাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে ও কালো ধোঁয়ায় চারদিক ছেয়ে যেতে দেখা গেছে। তার মধ্যে লোকজনের চিৎকার ও কান্নার আওয়াজও পাওয়া গেছে।

ওই পাইপলাইনটি মেক্সিকোর রাষ্ট্র মালিকানাধীন কোম্পানি ‘পেমেক্স’ এর। অতীতেও কোম্পানিটির পাইপলাইনে এ ধরনের বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তেল চোরদের স্থানীয়ভাবে ‘হুয়াচিকোলিও’ নামে ডাকে। মেক্সিকোর কিছু সম্প্রদায়দের মধ্যে এই তেল চোরদের অহরহ দেখা যায়।

মেক্সিকো সরকার জানিয়েছে, গত বছর ৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তেল চুরি হয়েছে। গত ডিসেম্বরে নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় আসার পর তেল চুরি বন্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু হয়।

পেমেক্স এক বিবৃতিতে জানায়, অবৈধভাবে তেল চুরির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কয়েক হাজার মেরিন সেনা পাইপলাইন প্রহরায় মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনার কারণে তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

২০১৩ সালে মেক্সিকো সিটিতে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে বিস্ফোরণে অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়। তার আগের বছর পেমেক্সের একটি গ্যাস কারখানায় অগ্নিকা-ে ২৬ জন প্রাণ হারায়।

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/এসআই)