পাঁচ মিনিটে ‘আঁধার দূর’

জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
 | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৫৭
ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন নিবেদন, ঘুষের দিনের অবসান হয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাঁচ মিনিটেই এখন মিলছে সে সংযোগ। গত এক সপ্তাহে আলোর ফেরিওয়ালার সৌজন্যে অন্তত অর্ধশতাধিক ঘর আলোকিত হয়েছে। এত সহজে সংযোগ পেয়ে গ্রাহকদের মধ্যে যেন খুশির শেষ নেই।

টাঙ্গাইল পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গোড়াই ও মির্জাপুর অঞ্চলের অফিস সূত্রে জানা গেছে, পল্লীবিদ্যুতের সেবা গ্রাহকদের জন্য সহজ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে সারা জাগানো পদক্ষেপ হচ্ছে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অতি সহজে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। রিক্সা ভ্যানে করে তার মিটার নিয়ে এলাকায় ঘুরে ঘুরে জামানত জমার পাঁচ মিনিটের মধ্যে গ্রাহকের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে।

মির্জাপুরে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে এক সপ্তাহ আগে। উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের গেড়ামেড়া গ্রামের আলম বলেন, ‘দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে বিদ্যুতের জন্য আর দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে না। এত সহজে বিদ্যুৎ পাবো তা ভাবতেই পারিনি।’

কাট বহুরিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম আনন্দিত হয়ে বলেন, ‘এ যেন স্বপ্ন। এত সহজে বিদ্যুৎ পাব কখনো ভাবিনি।’

দিঘুলিয়া গ্রামের রাসেল ও আব্দুল খালেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। খালেক বলেন, ‘শেখের বেটি যা কয় তাই করে। ঘরে ঘরে কারেন দিবার চাইছিল তাই দিতাছে।’

টাঙ্গাইল পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি মির্জাপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। এই কর্মসূচিকে সফল করতেই আমাদের এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রকল্প। শতভাগ বিদ্যুতের জন্য এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।’ স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন বলেন, ‘মির্জাপুরে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। আলোর ফেরিওয়ালার মাধ্যমে সেই প্রতিশ্রুতির লক্ষ্য অর্জনে অগ্রসর হচ্ছে।

আলোর ফেরিওয়ালা নামে এই উদ্যোগ প্রথম চালু হয় ঝিনাইদহের হরিণাকু-ুতে। পরে সেটি সারা দেশেই চালু হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :