এই রাত ভুলবে না চাঁদপুর

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:৫৭ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৪৪

রুদ্র রুদ্রাক্ষ

‘দুষ্টু ছেলের দলরা কি আছে?’

স্টেজে দাঁড়িয়ে জেমসের এই প্রশ্ন মাতিয়ে তোলে হাজারো দর্শক শ্রোতাকে। ‘গুরু’র গান শুনবে বলে আসা তরুণ তরুণীদের কাছে তার প্রতিটি উচ্চারণই মন্ত্রের মতো।

‘নগর বাউল’ খ্যাত এই ব্যান্ড শিল্পী গান গেয়ে এসেছেন চাঁদপুরে। জেলা স্টেডিয়ামে হাজারো শ্রোতা  জেমসের প্রশ্নের জবাব দিল একটি মাত্র শব্দ উচ্চারণ করে। ‘আছি’। কিন্তু হাজারো কণ্ঠে সে উচ্চারন হয়ে গেল স্লোগানের মতো।

জেমস প্রতুত্তরে বললেন '‘লাভ ইউ চাঁদপুর’। আর জনতা করল উল্লাস। ‘গুরু’, ‘গুরু’ ডাক তুলে মাতাল তারা গোটা আয়োজন।

জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গাইতে শুক্রবার রাতে চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামের স্টেজে ওঠেন জেমস। শুরুতেই  সভাবসুলভ সম্মোহন জালে জড়িয়ে ফেলেন ভক্তদের, ভাবের আদান প্রদান জ্যামিং ও ভাঙা ভাঙা দুয়েকটা কথায়।  এভাবে মিনিট পাঁচেক অতিবাহিত হওয়ার পর জেমস গেয়ে ওঠেন ‘কবিতা তুমি সপ্নচারিনী হয়ে খবর নিও না’।

যারা গান শুনতে এসেছিলেন, তারাও গেয়ে উঠলেন। এটাই নগর বাউলের প্রতিটি আয়োজনের বিশেষত্ব। তিনি নিজে গান, অন্যদের মুখ দিয়েও গান বের করেন।

সহস্রাধিক কণ্ঠস্বর একসাথে অনুকরণ করতে থাকে নগরবাউলকে। এর পরে তিনি একে একে গেয়ে চলেন ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’, ‘লেইস ফিতা লেইস ফিতা’, ‘মা’, ‘তারায় তারায় রটিয়ে দেব’ সহ মোট ১০টি গান।

বহুদিন বাদে এরকম প্রাণখোলা উল্লাসের পর উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর।

কনসার্টের বিষয়ে জেমস শনিবার বিকালে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘প্রতিটি কনসার্টই মূলত ব্যতিক্রম। আলাদা ক্রাউড প্রত্যেকটা স্টেজে। কিন্তু যে জিনিসটা কমন সেটা হচ্ছে সবাই গান পাগল। চাঁদপুরও এর ব্যাতিক্রম না। আমি গেয়েছি, চাঁদপুর রেসপন্স করেছে। আমার সাথে কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়েছে পুরোটা সময়। সব মিলিয়ে দারুণ একটা প্রোগ্রাম হয়ে গেল।’

চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতাউর রহমান পারভেজ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘জেমস ভাইয়ের ক্রেজ আমার ছোট বেলাতেও যেমন ছিল এখনও তেমন রয়েছে। উনি স্টেজে উঠে যেন আচ্ছন্ন করে ফেললেন পুরো স্টেডিয়ামকে। চাঁদপুর এই রাত কখনও ভুলবে না।’ 

কনসার্টে আরও গেয়েছেন দূরবীন ও ডোরা। প্রধান অতিথি হিসেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিও।