যিশু-মোনালীকে কাঁদালেন নোবেল

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৩৮ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:১৫

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

একের পর এক হিট গান শুনিয়ে কলকাতা মাতিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের ছেলে মাঈনুল আহসান নোবেল। ভারতীয় চ্যানেল জি বাংলায় প্রচারিত সংগীত বিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’র অন্যতম সেরা প্রতিযোগী তিনি। তবে এবার শুধু মাতানো নয়, শনিবারের বিকালে জেমসের গাওয়া ‘মা’ গানটি শুনিয়ে নোবেল রীতিমতো কাঁদিয়ে ছেড়েছেন শোয়ের উপস্থাপক যিশু সেনগুপ্ত ও বিচারক মোনালী ঠাকুরকে।

গান শুরুর আগে নোবেল উপস্থাপক যিশুকে জানান, আজকের গানটি তার উদ্দেশে। কথাটা শুনে ঠাট্টার ছলে যিশু বলেন, ‘সারেগামাপা’র ছয় নম্বর সিজনে তাকে উদ্দেশ্য করে কেউ গান গায়নি। নোবেল গাইছে, এ জন্য তাকে জড়িয়ে ধরে তিনি ধন্যবাদ জানান। তবে গান শুরু হলে যিশুর সেই হাসিমাখা মুখ নিমেষে মিলিয়ে যায়। বিষাদে পাল্টে যায় তার চেহারা। এরপর বাকিটা সময় তিনি শুধুই কেঁদেছেন। কারণ গানের ফাঁকে ফাঁকে যিশুর ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে তোলা কিছু ছবি স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছিল।  

বিচারকদের পেছনে দাড়িয়ে অনবরত চোখ মুছতে থাকা যিশুর অবস্থা দেখে এক পর্যায়ে উঠে পড়েন শোয়ের আর এক প্রধান বিচারক গীতিকার ও সুরকার শান্তনু মজুমদার।  তিনি যিশুর ডানপাশ থেকে বামহাতটা তার ঘাড়ের উপরে দিয়ে দাড়ান। বাকি সবাই নিস্তব্দ। চারদিকের এমন অবস্থা দেখে এবং নোবলের ‘মা’ শুনতে শুনতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মোনালী ঠাকুরও। তার মা অসুস্থ ছিলেন। তাই যিশুর মতো কাঁদতে শুরু করেন তিনিও।

এর আগে এই ‘সারেগামাপা’রই একটি পর্বে জেমসের গাওয়া ‘বাবা’ শিরোনামের গানটি গেয়েও একই আবহ তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশের নতুন সংগীত আইকন নোবেল। সেই বাবার পরে এবার কাঁদালের মা দিয়ে। নোবেলের গান শোনার পর শোয়ের বিচারকরা জানিয়ে দেন, এই পরিবেশনার পর তারা কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না।

প্রসঙ্গত, বাংলা ব্যান্ড সংগীতের অন্যতম সেরা তারকা জেমসের গাওয়া এই ‘মা’ গানটি ১৯৯৭ সালে প্রকাশ হওয়া তার ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’ অ্যালবামের। অ্যালবামের পাশাপাশি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এই গানটিও। যিটি পরবর্তীতে ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রয়াত নায়ক মান্নার ‘কষ্ট’ ছবিতে অন্তর্ভুক্ত করেন পরিচালক কাজী হায়াৎ। ‘মা’য়ের সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে প্রশংসিত হন মান্নাও।

ঢাকা টাইমস/২০ জানুয়ারি/এএইচ