ভাই হত্যার বিচার চেয়ে ইতালিতে সভা

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:০৪

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

‘আমার আদরের ছোট ভাইয়ের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়েও তাকে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে’ নিহতের বড়ো ভাই নাজিম উদ্দীন চৌধুরী এ বিচার দাবি করেন। এসময় তার আর্তনাদে সকলেই ছিলেন শোকে কাতর।

ইতালির রাজধানী রোমের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা তরপিনাত্তার রোসই রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত ফেনীর দাগনভূইয়ার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিহত ফকরুল উদ্দিন চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নিহতের বড়ো ভাই নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ঘটে যাওয়া সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোর বর্ণনা দেন।

বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা তরপিনাত্তার রোসই রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত আলোচনা  সভা পরিচালনা করেন বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি ইটালির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, ইতালি যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিয়ার রাসুল কিটন, রোম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মামুন, বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি রোমের প্রধান উপদেষ্টা এম ডি তারা।
ঘটনার বর্ণনায় নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি সৌদি প্রবাসী নিহত ফকরুল উদ্দিন চৌধুরীর নয় বছর পর দেশে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নামধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন অপকর্ম ও তাদের নিষিদ্ধ ব্যবসা ইয়াবা সংক্রান্ত গোপন তথ্য জেনে যায়। পরবর্তীতে তিনি তা প্রকাশ করলে (সাইফুল, হিরু, বাহাদুর, পারভেজ,দিদার) এই সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে খুন করে বাড়ির পাশের রাস্তার উপর ফেলে রেখে যায়।’

নিহতের বড় ভাই আরো বলেন, ‘ফেনীর দাগনভূইয়াতে তারা একনিষ্ঠ আওয়ামী লীগের পরিবার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু সেই আওয়ামী লীগের পরিবারের সন্তান হয়েও নামধারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই নৃশংস ঘটনার সৃষ্টি করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এক বছর হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা তাদের দুর্দান্ত দাপটের সঙ্গে চলছে। বাংলাদেশের প্রতিটি গণমাধ্যমে তা প্রকাশিত হলেও কোন বা কারো ইশারায় তারা আজো ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে এই পরিবারকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তার পরিবারের একটি মাত্র চাওয়া তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং সারাবিশ্বের ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবাসী রয়েছে তিনি সকল প্রবাসীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল নিহতের বড় ভাইয়ের কাছ থেকে এই নির্মম ঘটনা শুনে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা কখনো কোন দলের হতে পারে না। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সন্ত্রাসীর হাত যতো বড় হোক না কেন? আইনের হাতের চেয়ে তা কখনোই বড়ো নয়। তিনি আশ্বস্ত করেন যে, তার করণীয় যা কিছু আছে তা করবেন এবং আসামিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি  করেন।

ইতালি যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিয়ার রাসুল কিটন বলেন, ‘এই ধরনের মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। দ্রুত এই হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এলএ)