ডাকসুর পর রাকসু নির্বাচনের তোড়জোড়

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৫৪

সালমান শাকিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তোড়জোড় শুরুর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও নিল একই ধরনের উদ্যোগ। উত্তরের এই বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে গঠন করা হয়েছে চার সদস্যের কমিটি। এই কমিটি নির্বাচন নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের উদ্যোগ নেবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান ঢাকা টাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিজেই এই কমিটির প্রধান। অন্য তিন সদস্য হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা লায়লা আরজুমান বানু, রাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মীর ইমাম ইবনে ওয়াহেদ এবং সহকারী প্রক্টর আবু সাঈদ মো. নাজমুল হায়দার।

১৯৬২ সালে রাকসু গঠনের পর এখন পর্যন্ত ১৪ বার নির্বাচন হয়েছে। ১৯৯০ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন বিএনপির বর্তমানের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। জিএস হন লুৎফুর রহমান।

গত প্রায় তিন দশকের নানা সময়ে নির্বাচনের কথা উঠলেও শেষ পর্যন্ত নানা জটিলতায় আটকে যায় ভোট। তবে আগামী মার্চে ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়ে যখন দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা প্রস্তুতি চলছে, তখন এগিয়ে এসেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন।

কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা (কমিটি) নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসব। তারপর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।’

নির্বাচনের যেকোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর কথা বলেছেন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বিশ^বিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে আমরা রাকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে চাই। বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ মানের শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে নির্বাচন করবে। এর জন্য আমরা প্রস্তুত। আশা রাখি, শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে ভিপি-জিএস প্যানেল নির্বাচিত করবে।’

বিএনপির ছাত্র সংগঠন বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘আমাদের বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন ডাকলে অবশ্যই আলোচনার জন্য যাব। তবে এর আগে ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’

সম্প্রতি এক ছাত্রদলকর্মীকে ক্যাম্পাসে মারধরের ঘটনা উল্লেখ করে রাহী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাও মুশকিল হবে।’

বিশ^বিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, ‘নির্বাচনের দাবি নিয়ে আমরা প্রশাসনের কমিটির সাথে আলোচনায় বসব। আমরা চাইব যে সুষ্ঠুভাবে রাকসুর নির্বাচনের মাধ্যমে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন যেন জাতির কাছে একটি বার্তা দেয়। নির্বাচনকে যেন কলুষিত করার চেষ্টা না করা হয়।’