স্ত্রীর ওপর নজরদারির ‘আক্কেলসেলামি’

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪১

ব্যুরো প্রধান, ময়মনসিংহ

স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন তিনি। ভাবতেন অন্য কারো সঙ্গে বুঝি সম্পর্ক আছে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্ত্রী কী করছেন, তা দেখতে বোরকা পরে চলছিল নজরদারি। কিন্তু পুরুষের প্রক্ষালন কক্ষ (টয়লেট) ব্যবহারে বাঁধে গোল। ধরা পড়ে যান তিনি।  

সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ। আর মাহমুদুল হাসান নামে ওই ব্যক্তির আটক হওয়ার বিষয়টি তুমুল আলোচনার খোরাক জুড়িয়েছে এলাকায়।

মাহমুদুলের বাড়ি শেরপুর জেলায়। করণিক হিসেবে চাকরি করেন জামালপুরের আইবিএ কলেজে। বিয়ে করেছেন প্রেম করেই। কিন্তু মোবাইল ফোনে একটি কল আসার পর স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ জাগে তার।

সোমবার স্ত্রীর স্নাতক সম্মানের মৌখিক পরীক্ষা ছিল। একসঙ্গে ট্রেনে করে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ শহরে আসেন দুই জন। রিকশায় করে স্ত্রীকে কলেজ ফটকে নামিয়েও দেন। কিন্তু স্ত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠিয়েই বাইরের দোকান থেকে বোরকা কিনে এনে কলেজে ঢুকেন মাহমুদুল।

বেশ ধরেছেন নারীর। কিন্তু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে অভ্যাসবশত ঢুকে পড়েন পুরুষের টয়লেটে। আর বের হওয়ার সময় সন্দেহ হয় কলেজ কর্তৃপক্ষের। সঙ্গে সঙ্গে আটক হন তিনি। খবর দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কে। আর গোয়েন্দারা এসে বোরকা তুলে হন আক্কেলগুরুম। এ তো কোনো নারী নন, একজন পুরুষ!

সন্দেহ জাগে গোয়েন্দাদের। বুঝি তিনি নাশকতা করতে এসেছেন। আর তাকে নিয়ে করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ। সেখানেই সব খুলে বলেন মাহমুদুল।

ময়মনসিংহ ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল বলেন, ‘স্ত্রী কী করছে সেটা জানতে বোরকা পরে ছদ্মবেশে কলেজে প্রবেশের ঘটনাটি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন মাহমুদুল হাসান। এরপরও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে তার স্ত্রীর সঙ্গেও। তাদের অভিভাবকদেরও ডেকে এনে কথা বলা হবে।’