ছাত্রদল হলে থাকলে ‘সমস্যা নেই’ ছাত্রলীগের

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০৩ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০৬

ঢাবি প্রতিবেদক
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উপাচার্য কার্যালয়ে সভা শেষে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিশ^বিদ্যালয়ের হলে থাকলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনো সমস্যা নেই। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরিবেশ সংসদের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

এতে সভাপতি ছিলেন ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আয়োজনে সব ছাত্রসংগঠনের সহায়তা চান।

ডাকসুর নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সংসদ বৈঠক করে। এতে ডাকসুর গঠনতন্ত্র, নির্বাচনের আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা হয়। ছাত্রসংগঠনগুলো ভোটার ও প্রার্থীদের বয়স, তফসিল, ভোটকেন্দ্র প্রহরায় সিসি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরে। এতে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন।

হলে সহাবস্থান প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হলের শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রভোস্টের কাছে রয়েছে। ছাত্রদলের যারা নিয়মিত শিক্ষার্থী, তারা প্রভোস্টের মাধ্যমে হলে থাকলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রদল মধুর ক্যানটিনে এসে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে। কারণ বৈধ ছাত্রদের সহাবস্থানের বিষয়ে ছাত্রলীগ একমত।’

ছাত্রদল অভিযোগ করে আসছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ‘ছাত্রলীগের নির্যাতনে’র কারণে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এ অভিযোগ মানতে নারাজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তার দাবি, ‘ছাত্রদল সর্বশেষ ক্যাম্পাস ছেড়েছিল নিজেদের কোন্দলের কারণে।’

ছাত্রলীগের নিশ্চয়তার পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কি হলে উঠবেন, জানতে চাইলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসান জানিয়েছেন, পরিবেশ অনুকূল হলে তারা হলে ও মধুর ক্যানটিনে ফিরে আসবেন। তিনি আরও জানান, তারা সহাবস্থান নিশ্চিতে প্রশাসনের কাছে দাবি তুলেছেন।

পরিবেশ সংসদের বৈঠকের পর সহাবস্থানের বিষয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে (সোমবার) প্রক্টরিয়াল টিমের নিরাপত্তা ছাড়া বৈঠকে এসেছি। ছাত্রলীগ আমাদের মধুর ক্যানটিনে চায়ের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আগামীকাল (আজ) থেকে মধুর ক্যানটিনে আসব। একইভাবে আমরা হলেও ফিরব।’

সোমবারের বৈঠকে আরও ছিলেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক  ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন। ছিলেন বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরা। বৈঠকের সঞ্চালক ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/ডব্লিউ