চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ৪

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:০৯

চবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুইটি পক্ষ। এতে উভয় পক্ষের অন্তত চারজন কর্মী আহত হয়েছেন। আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে চারজনকে।

মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল।

জানা যায়, সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল স্টেশনে ট্রেনের বগি ভিত্তিক ‘চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার’ (সিএফসি) গ্রুপের পূর্বনির্ধারিত শোডাউন ছিল। শোডাউন শেষে ফেরার পথে তাদের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা। ওই ঘটনার জেরেই আজ মুখোমুখি হয় গ্রুপ দুইটি।

এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে উভয় পক্ষই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সেখান থেকেই আটক করা হয় সিএফসি গ্রুপের ৪ জনকে।

আটককৃতরা হলেন ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের সার্জন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আসির উদ্দীন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শাকিল ও আরবি বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শাকিল।
আহতদের মধ্যে দুইজন হলেন ইংরেজি চতুর্থ বর্ষের মেহেদি হাসান ও পালি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্লাটুন। অন্য দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

সংঘর্ষের বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি জামান নুর বলেন, ছাত্রলীগের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অনুপ্রবেশকারীদের ইন্ধনেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। বড়রা মিলে মীমাংসা করব।
অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনা স্বীকার করলেও সিএফসি গ্রুপের কর্মীদের মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও একই কমিটির আরেক সহ সভাপতি মনসুর আলম। তিনি বলেন, গতকাল ভুল বুঝাবুঝি থেকে আমাদের কর্মীরা কয়েকজনকে মারধর করেছে। কিন্তু ওরা সিএফসির কর্মী ছিল না। অথচ তারা আজ বিনা উস্কানিতেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন ঢাকাটাইমসকে বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে৷ ক্যাম্পাসে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/ইএস