সিঁধ কেটে ধর্ষণ

‘নিরপরাধ’ তিনজন রিমান্ডে

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪০

নোয়াখালী প্রতিবেদক

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় সিঁধ কেটে তিন সন্তানের জননীকে দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় তিন জনকে রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী নারী বলছেন, এই তিন জন নির্দোষ। তাদের ফাসিয়েছেন প্রধান আসামি।

মঙ্গলবার এই মামলায় তিন জনকে চার দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। তবে ধর্ষিতা নারী আদালতে বলেছেন, আসামি জাকির হোসেন জহির মনগড়া জবানবন্দি দিয়ে তার নিরপরাধ আত্মীয়দের গ্রেপ্তার করিয়েছেন। আর এদের রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে ধর্ষিতার তিন আত্মীয়কে নোয়াখালীর বিচারিক হাকিম ২ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক নবনিতা গুহ তাদের প্রত্যেককে রিমান্ডে পাঠান। তবে ঘটনায় জড়িত নয় দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছেন আসামিরা।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, তিন আসামিকে সাত দিন করে রিমান্ড চেয়েছিলেন তারা।

সোমবার মামলার বাদীর পক্ষে আইনজীবী রবিউল হাসান পলাশ আদালতে লিখিত আবেদন দিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, আসামি জাকির হোসেন জহির উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদীনির পরিবারে অশান্তি সৃষ্টির জন্য এই তিন জনকে জড়িয়েছে। তবে ঘটনার দিন তাকে দেখেননি তিনি। আর তাই এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন বাদীনি।

ঘটনার পরের দিন দুপুরে জাকির হোসেন জহিরের দেওয়া প্রাথমিক তথ্যমতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নির্যাতিতার দেবরসহ তিন আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করে। পরে জহির গত রবিবার ১৬৪ ধারা আদালতে জবানবন্দি দেন। এতে তিনি দাবি করেন, এই ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী ধর্ষিতার দেবর।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে একটি ধরে সিঁধ কেটে ঢুকে একদল মানুষ। তারা ঘরটিতে ৬০ হাজার টাকা আছে বলে সেগুলো দিতে বলে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে তাদের তর্কবির্তক হয়। পরে ওই নারীর মা, এক ছেলে ও দুই মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।

রাত আনুমানিক তিন টার দিকে ধর্ষকরা ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় তারা ঘরে থাকা নগদ টাকা, দুই ভরি স্বর্ণ, মোবাইল ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জহিরসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।