আট মাস পর কিশোর হত্যার রহস্য ‘উন্মোচন’
পাওনা টাকা চাওয়ায় বন্ধুদের হাতে খুন হয়েছিলেন গাজীপুর জেলার বিকে বাড়ি এলাকার মাসুদ রানার ছেলে আলমগীর। হত্যাকাণ্ডের প্রায় আট মাস পর নিহত ওই কিশোরের দুই বন্ধু পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে বের হয়ে আসে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি। বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
এসপি জানান, নিহত আলমগীর তার বন্ধু জিহাদকে ২১ শ টাকা ধার দেয়। টাকা চাইতে গেলে আলমগীরের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে জিহাদ। এছাড়া তাকে হত্যারও হুমকি দেয়। পরে বন্ধু নয়নকে নিয়ে আলমগীরকে হত্যার পরিকল্পনা করে জিহাদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২৫ মে বিকালে খেলার মাঠ থেকে আলমগীরকে ডেকে নিয়ে যায় জিহাদ। পরে বিকে বাড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে পেটে ছুরিকাঘাতের পর গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। ঘটনার চার দিন পর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করলে নিহতের স্বজনরা গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় এরপর কোনো ক্লু খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা টাইমস/২৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর