বুদ্ধিজীবীদের পাশে শায়িত বুলবুল

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৫২

চলে গেছেন গানের কারিগর আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। বেঁচে থাকতে হয়তো তার কিছু অপ্রকাশিত ইচ্ছা ছিল যেগুলো পূরণ হয়নি। কিন্তু মৃত্যুর পরে তার বলে যাওয়া শেষ ইচ্ছাটা অন্তত পূরণ হলো। যেটি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ^জিৎ। সেই ইচ্ছা অনুযায়ী, মীরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হলো কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক বুলবুলকে। বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় দাফন সম্পন্ন হয় বিশিষ্ট এই সংগীত ব্যক্তিত্বের।

এর আগে সকালে বুলবুলের মরদেহ ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। সেখানে সকল শ্রেণির মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। কারণ তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে বুলবুল অস্ত্র হাতে সরাসরি যুদ্ধ করেছিলেন। ওই কাঁচা বয়সে দেশ স্বাধীনের প্রত্যয় নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর। ছিনিয়ে এনেছিলেন দেশের স্বাধীনতা। কাজেই মৃত্যুর পর এতটুকু সম্মান তার প্রাপ্য।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বুলবুলের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় এফডিসিতে। সেখানে সহকর্মীরা চোখের জলে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। আসরের নামাজের পরে এফডিসিতেই বুলবুলের দ্বিতীয় ও শেষ জানাজা সম্পন্ন হয়। তারপর আরও কিছুক্ষণ মরদেহ সেখানে রাখার পর নিয়ে যাওয়া হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। যেখানে ঘুমিয়ে আছেন জাতীয়র শ্রেষ্ঠ সন্তানরা। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ সেখানে তাকে সমাহিত করা হয়।

মঙ্গলবার সোয়া ছয়টার দিকে রাজধানীর আফতাবনগরে নিজগৃহে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বাংলা সংগীতের অন্যতম পুরোধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে স্থানীয় ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, বাসায় থাকতেই বুলবুলের প্রাণ পাখি উড়ে গেছে। অর্থাৎ তিনি আর বেঁচে নেই। তার মৃত্যুর মধ্যদিয়ে বাংলা সংগীতের আকাশ থেকে খসে পড়ে এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র।

দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন বুলবুল। তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটে গিয়ে অপারেশনও করিয়েছিলেন। এরপর থেকে গত কয়েক মাস ভালোই ছিলেন খ্যাতিমান এই সংগীতজ্ঞ। কিন্তু মঙ্গলবার ভোরের আলো না ফুটতেই যমদূত এসে তাকে নিয়ে যায় আপন ঠিকানায়। যেখান থেকে কেউ কোনো দিন আর ফিরে আসে না।

ঢাকা টাইমস/২৩ জানুয়ারি/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিনোদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :