শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, কাঁদানে গ্যাস পড়ল স্কুলে

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩০

একটি পোশাক কারখানা বন্ধের নোটিশ দেওয়ার পর তুলকালাম হয়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় অন্তত ৫০ জন। সংঘর্ষের সময় পুলিশের কাঁদানে গ্যাস আশেপাশের বিভিন্ন স্কুলে গিয়েও পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন ক্ষুদে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।

বৃহস্পতিবার বরপা অন্তিম নিটিং অ্যান্ড ডাইয়িং কারখানায় সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে শ্রমিকরা বন্ধের নোটিশ দেখতে পায়। এ সময় বকেয়া বেতনের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে। সেই সঙ্গে চলে লাঠিপেটা। এতে কারখানার শ্রমিক ও আশপাশের তিনটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ ৫০ জন আহত হয়।

পুলিশের কাঁদানে গ্যাসে আশপাশের লিটল ফ্লাওয়ার প্রি-ক্যাডেট স্কুল, বরপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ব্রিলিয়ান্ট মডেল স্কুলের ৩০ জন ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়। ঈশিকা, শিফা, রাফিন, নাহিয়ান স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

আমেনা, ফারজানা, আসলাম ও কাউসার নামে চার জন শ্রমিক জানান, গত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের বকেয়া বেতন জানুয়ারির ১০ তারিখে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের টাকা দেওয়া হয়নি। সেদিন উত্তেজনার পর কর্তৃপক্ষ পুনরায় ২৪ জানুয়ারি বেতন দেওয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু সকালে কারখানার সামনে এসে গেটে তালা ঝুলানো দেখেন তারা।

কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশ টানিয়ে চলতি মাসের ৩১ তারিখে বেতন পরিশোধ করার ও ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত কারখানা বন্ধের ঘোষণা টানিয়ে দেয়। নোটিশ দেখে শ্রমিকরা কারখানার সামনে মিছিল করে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ অবস্থান নেয়। কয়েকজন শ্রমিক সড়কে নামতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকরা পুলিশের ওপর ঢিল ছোড়ে। শুরু হয় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

এ বিষয়ে জানতে কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হক বলেন, ‘এ কারখানার বিষয়ে নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিবেদন দিয়েছি।’

শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম দেওয়ান বলেন, ‘শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা উচিত।’

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘শ্রমিকরা প্রথমে পুলিশের উপড় ঢিল ছোঁড়ে। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :