ঠাকুরগাঁওয়ে সরিষায় মাতোয়ারা ফসলের মাঠ

বদরুল ইসলাম বিপ্লব
 | প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪০

ঠাকুরগাঁওয়ে মাঠের পর মাঠজুড়ে এখন সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ। মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা ফসলের মাঠগুলো। প্রতিবারের মতো এবারো ঠাকুরগাঁওয়ে বিস্ত্রীর্ণ ভূমিতে করা হয়েছে সরিষা চাষ।

জেলা কৃষি বিভাগের মতে, এবার ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গত বছর সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় বিগত বছরের চেয়ে এবার প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে।

এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে ব্যয় হয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। আর ওই জমিতে সরিষা পাওয়া যায় সর্বোচ্চ পাঁচ মণ। প্রতিমণ সরিষার বাজারমূল্য এক হাজার ৬০০ টাকা হিসেবে একবিঘা জমি হতে কৃষকের আয় হয় আট হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি বিঘা জমি থেকে লাভ পাওয়া যায় প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। তাই প্রান্তিক চাষিদের কাছে সরিষা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সরিষা চাষ করে খাঁটি সরিষার তেল পাওয়া যায় এবং গরুর খাবার হিসেবে সরিষার খৈল বেশ উপকারী। অবশ্য সরিষা আবাদ করে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরতে দেখা গেছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নে কৃষক উত্তম কুমার বর্মণ বলেন, আমি এবার এক একর জমিতে বাড়ি ১৪ ও ১৫ জাতের সরিষা লাগিয়েছি। গতবারও লাগিয়েছিলাম। ফলন ভালো হয়েছে। তবে যদি দামটা ভালো পাই তাহলে আশা করি লাভবান হবো এবারো।

সদর উপজেলার ঘনিমহেশপুর গ্রামের কৃষক হাসিবুল ইসলাম বলেন, আমি এবার এক একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি। এতে বিঘাপ্রতি ব্যয় হয়েছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার পাঁচ মণ সরিষা পাব। সরিষা শুকিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ মণ পাব বলে আশা করছি। আর দাম ভালো থাকলে বিঘাপ্রতি লাভ হবে পাঁচ হাজার টাকা।

এ ব্যপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় এবার ব্যাপক জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকেরা ন্যায্য দাম পেলে এ জেলায় সরিষার আবাদ দিন দিন বাড়বে। এতে খাঁটি সরিষার তেল ও গো-খাদ্য হিসেবে খৈলের চাহিদা মিটবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :